আন্তর্জাতিক
সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে সারা গিলবার্টের দিকে
বিশ্ববাসীর এখন যেন একটাই চাওয়া। করোনাভাইরাস এর ভ্যাকসিনের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। কবে আসবে ভ্যাকসিন। কবে এই ভ্যাকসিন দিয়ে করোনাভাইরাসকে ঠেকিয়ে দেয়া যাবে। ইতিমধ্যে আবিস্কার হয়েছে ভ্যাকসিন। যিনি আবিস্কার করেছেন তিনি একজন বিজ্ঞানী। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। তিনি সারা গিলবার্ট। বিজ্ঞানের সাধনায় যিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন,সোপর্দ করেছেন মানব কল্যাণে। এরআগে আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া মহামারি ‘ইবোলা’র প্রতিষেধক উদ্ভাবন করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন সমগ্র বিশ্বে। এখন আবার তাঁর নেতৃত্বে অক্সফোর্ডের একদল বিজ্ঞানী মানব বিধ্বংসী জীবানু ‘করোনা’র প্রতিষেধক ভ্যাকসিন Chadox 1 ও Chadox 2 তৈরি করে গতকাল মানব শরীরে অনুপ্রবেশ ঘটান।প্রথম যাঁর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় তিনিও এক মানবী। নাম Elisa Granato। বয়স ৩২।না, কেউ আমরা তাঁকে চিনি না। এই ভ্যাকসিন শরীরে এন্টিবডি তৈরি করলে এরপর তাঁকে দেয়া হবে ‘করোনা’ ভাইরাস। এতে মৃত্যু ঝুঁকি আছে।কারন ভ্যাকসিন কাজ না করলে রয়েছে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা। অথচ দেখুন পৃথিবীর কল্যাণের কথা ভেবে, লক্ষ কোটি মানুষের জীবনের কথা ভেবে তিনি স্বেচ্ছায় নিজের শরীরে সরাসরি এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করেননি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। আমরাও আশা করি এই পরীক্ষার সফল প্রয়োগ হোক। এছাড়া বিশ্বে নানা জায়গায় আরও অনেকেই সফল ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছেন। তারা সফল হোক আমরা সেই কামনা করি। করোনাভাইরাস এর অবিশ্বাস্য ভয়ংকর আতংক থেকে মানব জাতি মুক্তি পাক। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি, গবেষণালব্ধ ভ্যাকসিন দ্রুতই মানবজাতির নতুন ত্রাতা হয়ে আসবে।