বরিশাল
মাংস বিক্রির দোকানে কুকুর জবাই, জড়িতদের শাস্তি দাবি
বরিশাল নগরীর বটতলা বাজারে একটি কুকুর জবাই করে মাংস হিসেবে বিক্রির পূর্বেই স্থানীয়দের রোষানলে পড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত। জবাইকৃত কুকুরটি উদ্ধার করেছে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অব বরিশালের সদস্যরা। এ ঘটনায় পশু আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে বটতলা মাংস বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার করে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন। অভিযুক্ত রায়হান মোল্লা বটতলা এলাকার বাসিন্দা। সে বটতলা বাজারের মাংস বিক্রেতাদের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।
বটতলার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বটতলা বাজারের মাংস বিক্রির দোকানের পেছনে নিয়ে মাংস কাটার রামদা দিয়ে কুকুরটিকে জবাইয়ের চেষ্টা চালায় রায়হান। একপর্যায়ে কুকুরটি তার হাত থেকে রক্ষা পেতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় কুকুরটির গলা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। বটতলা এলাকার অলিগলি দৌড়ে হালিমা খাতুন স্কুল সংলগ্ন এলাকার গলিতে গিয়ে কুকুরটি পড়ে যায়। এরপর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের সদস্যরা এসে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তার আগে কুকুরটি মারা যায়। পরে বটতলা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা রায়হানকে আটকে অভিযান চালালেও সে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর পর তা কুকুর না ছাগল কেউ বলতে পারবে না। তাদের ধারণা, কুকুরটি জবাই করে ছাগলের মাংস হিসেবে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল রায়হানের। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।
বটতলা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘যে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাকে আমরা চিনি না। এ ঘটনায় বটতলা বাজারের বিশেষ করে মাংস বিক্রেতারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্রেতারা যাতে কোনোভাবে আমাদের ভুল না বোঝে এ জন্য পুলিশের নিকট প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনপূর্বক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
বটতলা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সাবু বিন ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত রায়হানের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’