বরিশাল
ঈদের কেনাকাটায় বরিশালে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি
এসএন পলাশ: ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বরিশালের মার্কেটগুলোতে বেড়েছে লোকসমাগম। দেশে যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সেই সময়ে নগরীর মার্কেটগুলোতে ভিড় করছে মানুষ। ফলে দিন দিন করোনার ঝুঁকি বেড়েই চলছে বরিশাল নগরীতে। সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মার্কেট ও সব দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গত দু’দিন ধরে এই সুযোগ ঈদ কেনাকাটা শুরু করেছে স্থানীয়রা। তাহলে জনসমাগম এড়াতে এতদিন যে লকডাউনের কঠোর ব্যবস্থা ছিল আস্তে আস্তে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আর ধীরে ধীরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে মহামারির দিকে। অধিকাংশ দোকানি ও ক্রেতারা সামাজিক দূরুত্ব না মানায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। এভাবে লোকসমাগম বাড়তে থাকলে বরিশাল নগরীসহ জেলায় করোনার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশংকা করছেন সাধারন মানুষ। এ পর্যন্ত বরিশালে ৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং মল ও দোকান-পাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। করোনার বিস্তাররোধে নগরীর মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার জন্য ৯ মে রাতে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বিভিন্ন দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে অনুরোধ করলে তারা সম্মত হয়। ১১ মে সিটি মেয়রের অনুরোধ উপেক্ষা করে বরিশাল নগরীর চকবাজার, পদ্মাবতী, কাটপট্রি, লাইনরোড, হেমায়েত উদ্দিন রোড, গীর্জামহল্লাসহ নগরীর অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে পুরোদমে বিক্রি করছে। কেউ আবার দোকানের সাঁটার টেনে ক্রেতাদের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে বিক্রি করছে। দোকান খোলার খবরে প্রতিদিনই নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করতে আসছেন। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিমত অনেকের। সারাদেশে যেভাবে করোনা সংক্রমন ও মৃত্যুর হার বাড়ছে তাতে ঝুঁকির প্রবনতা বেড়ে চলছে। তাই এ সময়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে ভিড় করে কেনাকাটা করাটা আত্মঘাতী। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান বলেন, ‘মানুষ যদি নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখে তাহলে তা বিপদ ডেকে আনবে। আমরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।