বরিশাল
অবৈধ বেকারিতে সয়লাব বরিশাল, অবৈধ ৪৮টি আর বৈধ ১১টি!
বরিশাল সদর উপজেলার এক তৃতীয় অংশ বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। সদর উপজেলায় ৫৯ বেকারি থাকলেও বৈধতা রয়েছে মাত্র ১১টির।
এসব অবৈধ বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিষাক্ত দ্রব্য দিয়ে মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। আর এসব খাদ্যসামগ্রী প্রতিদিনই ছড়িয়ে পড়ছে সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের হাট বাজারে।
আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চলছে এসব বেকারি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী- বরিশাল সদর উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে মোট বেকারি সংখা ৫৯ টি। এরমধ্যে বৈধতা রয়েছে মাত্র ১১টির আর অবৈধ ৪৮টি। এর বাইরেও ছোট বড় আরও অসংখ্য বেকারি রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- বরিশাল সদর উপজেলার এক তৃতীয় অংশ বেকারি অবৈধ। তাহলে কি করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে দিনের পর দিন চালিয়ে আসছে অবৈধ বেকারিগুলো।
বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন ইউনিয়নের বেকারিগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিষিদ্ধ মেডিসিন ও রঙ দিয়ে খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে বিভিন্ন নামকরা কোম্পানির ব্র্যান্ডের মোড়কে এসব নামবিহিন দ্রব্য বাজারজাত করা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে উপজেলা এলাকার মানুষ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানান যায়- অবৈধ বেকারিগুলো বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলেও শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চালিয়ে আসছে বেকারিগুলো। অপরদিকে সরকারি দপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করছেন দিনের পর দিন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় , বরিশাল শিল্প নগরী বিসিক‚ কাশিপুর‚ কড়াপুর‚ চরমোনাই ও বিভিন্ন ইউনিয়নের অধিকাংশ বেকারি গড়ে উঠেছে। সরকারি অনুমতি ছাড়াই মানহীন পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করছে এ সকল বেকারির মালিকরা।
এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিস্কুট, চানাচুর, কেক, পাউরুটি, মিষ্টিসহ নানা মুখরোচক খাদ্য পণ্য। নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পণ্যসামগ্রী। শ্রমিকরা খালি গায়ে ও খালি পায়ে নোংরা পরিবেশে এসব খাদ্যসামগ্রী তৈরি করছে। পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভন ভন করছে। কয়েক দিনের পুরনো ও নোংরা ময়দা, ডাল্ডা বা তেলেই ভাজা হচ্ছে পণ্যসমাগ্রী।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন‚ বরিশাল সদর উপজেলার অধিকাংশ বেকারির পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। আমরা দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করব।’