ঝালকাঠি
জাল নোট দিয়ে ধারের টাকা পরিশোধ, কারাগারে নারী
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরে জাল টাকা দিয়ে ধারের টাকা পরিশোধ করার মামলায় বিউটি মিস্ত্রী নামের একজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি বিউটি মিস্ত্রী রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার জয়ন্ত মিস্ত্রীর স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পাঁচ মাস আগে নৈকাঠির ননী হালদারের স্ত্রী সুবর্ণার কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা ধার নেন একই এলাকার বিউটি মিস্ত্রী। ১৫ দিন আগে তিনি ওই টাকা পরিশোধ করেন। পাশাপাশি আরও সাত হাজার টাকার পুরাতন নোট পরিবর্তন করে নতুন টাকা দেন সুবর্ণাকে। সুবর্ণা না বুঝে টাকা রেখে দেন। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওই টাকা থেকে একটি ৫০০ টাকার নোট নিয়ে দোকানে যান সুবর্ণা।
দোকানদারের কাছ থেকে সুবর্ণা জানতে পারেন ৫০০ টাকার নোটটি জাল। তখন বাসায় রাখা অন্য নোট নোটগুলোও জাল বলে সন্দেহ করেন সুবর্ণা। বিষয়টি তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান। পরে রাজাপুর থানায় বিউটির নামে অভিযোগ করেন সুবর্ণা।
অভিযোগ তদন্তে বিউটিসহ উভয় পক্ষের পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিউটিকে দোষী হিসেবে আটক এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিউটি এর আগেও ইসলামী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে জাল টাকার ব্যবহার করেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে অভিযুক্ত বিউটি মিস্ত্রী দাবি করেছেন, তিনি পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। টাকাগুলো সেখান থেকে দেওয়া।
এ বিষয়ে রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের কাউখালী শাখার ব্যবস্থাপক মো. জুয়েল তালুকদার বলেন, ‘নগদ নয়, আমরা ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকি।’
রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফা কামাল বলেন, প্রকৃত অপরাধী বের করতে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে বিউটি তার নিজের বক্তব্যে জড়িয়ে পড়লে তাকে আটক করা হয়।