জাতীয়
বাসায় অজ্ঞান করে লুটপাট: প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার, স্ত্রী মৃত্যুশয্যায়
রাজবাড়ীতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া চেতনানাশক ওষুধে আওয়ামী লীগ নেতা রতন কুমার দাস (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন তার স্ত্রী কনিকা রানী দাস (৬০)।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রতন। এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের আহলাদিপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে রতন কুমার দাস ও তার স্ত্রীকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার লুট করে দুর্বৃত্তরা।
রতন কুমার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তার স্ত্রী স্থানীয় মধুপুর ছকিরন নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
রতন কুমারের ছোট ভাই নান্টু দাস বলেন, আমার বড় ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা ও কর্মক্ষেত্রের কারণে ঢাকায় থাকে। বাড়িতে ভাই ও ভাবি দুজনেই থাকেন। ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভাই-ভাবির সঙ্গে আমাদের কথা হয়। এরপর রাতে তারা তাদের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। শনিবার সকাল ৭টার দিকে এক শিক্ষার্থীর মা তার সন্তানকে প্রাইভেট পড়াতে নিয়ে এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। তিনি ঘরে ঢুকে খাটের ওপর অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান দুজনকে। পরে তিনি খবর দিলে আমরা গিয়ে ভাই-ভাবিকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে রাত ১১টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করা হয়। রাত ৩টার দিকে সেখানে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাবি ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
নান্টু দাস আরও বলেন, আমাদের ধারণা সংঘবদ্ধ কোনো অজ্ঞান পার্টি পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের ঘরে ঢুকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার লুট করেছে। এ ঘটনায় আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।