বরিশাল
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে নামছে ঝুঁকিপূর্ণ মাইক্রো, দূর্ঘটনার আশঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতু চালুকে কেন্দ্র করে এ জনপদের পরিবহন সেক্টরে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে তারই অংশ হিসেবে বরিশাল-ঢাকা রুটে ফিটনেস বিহীন, ঝুঁকিপূর্ণ মাইক্রো সার্ভিস নিয়ে তোরজোর শুরু করেছে মাইক্রো সার্ভিস মালিক সমিতি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এ রুটের নিয়মিত চালকদের অভিযোগ থেকে জানা যায় বরিশালে আসার সড়কগুলো সরু দ্রুত এগুলো আরো প্রশস্থ না করা হলে দূর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়বে, একইতো সড়কে জায়গা কম তার উপরে বিভিন্ন ছোট যানবাহন থাকার কারনে তাদের দ্রুত আসার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা মোকাবেলা করতে হয় এই মহাসড়কে।
মাইক্রো সার্ভিসের সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, যাত্রীসেবায় অন্য যেকোনো পরিবহনের তুলনায় বেশি জনপ্রিয়তা পাবে এই পরিবহন, সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ জন্য পুরোনো গাড়িগুলোকে জোড়া-তালি মেরামত করে গাড়ি গুলোকে রুটে নামানো হচ্ছে, যার ৮০ শতাংশ রিজেক্ট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি।
আগেও বরিশাল থেকে পদ্মার এপাড় কাঁঠালবাড়ি পর্যন্ত সার্ভিস থাকলেও সেতু চালু হলে রাজধানীর সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারবে বলে তাদের দাবি।
মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু হওয়ায় বরিশাল-ঢাকা-বরিশাল যাতায়াতে বাসের থেকে কমপক্ষে এক ঘণ্টার সময় খরচ কমিয়ে আনলেও ঝুঁকিপূর্ণ মাইক্রো সার্ভিস নিয়ে দূর্ঘটনা বাড়ার অধিক আশঙ্কা রয়েছে।
নথুল্লাবাদের মাইক্রোবাস চালক জসিম বলেন, আগে আড়াই ঘণ্টায় কাঁঠালবাড়ি পর্যন্ত যেতাম। ভাড়া নিতাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যাত্রীও ছিল প্রচুর। সেতু চালু হলে যাত্রীরা দ্রুত গন্তব্যে যেতে লঞ্চ ও বাসের চেয়ে মাইক্রো সার্ভিসকে বেছে নেবে তাদের সুবিধার জন্য।
লাইনম্যান আবুল হোসেন বলেন, অনেক লোক জরুরী কাজের প্রয়োজনে তাদের দ্রুত যেতে হয়। কয়েক বছর ধরে আমি লাইনম্যানের দায়িত্বে আছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যদি ভালো মানের গাড়ি রুটে থাকে, তাহলে বাস-লঞ্চের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হবে মাইক্রো সার্ভিস।
নথুল্লাবাদ মাইক্রো সার্ভিসের পরিচালক গোলাম কবিরের দাবি তাদের মাইক্রো সার্ভিসের সব গাড়ি হবে শীততাপনিয়ন্ত্রিত, কিন্ত নিয়মিত যাত্রীদের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অধিকাংশ মাইক্রোবাসই এসি নস্ট।
এ ব্যাপারে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বরিশাল এর সভাপতি প্রফেসর শাহ্ সাজেদা বলেন, লাইসেন্স ও ফিটনেস ঠিক না করে যেন এই সকল যানবাহন রুটে মানতে না পারে এই ব্যাপারে আমি সংশ্লিস্ট দপ্তর গুলোকে সচেতনতার দিক লক্ষ রাখতে বলব, না হলে দূর্ঘটনা গুলো আমাদের পদ্মা সেতুর সুফলকে কলঙ্কিত করবে।
সুত্রে জানা যায়,বরিশালের মালিকানাধীন ২০ থেকে ২২টি আর ঢাকার মালিকানাধীন মিলিয়ে অর্ধশত মাইক্রো মালিক ইতোমধ্যে তারা যাত্রীসেবা দিতে নিয়মিত পরিবহন চালু জন্য প্রস্তুত করেছেন। এখন পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি।
মাইক্রো গন্তব্য থেকে ছাড়ার নির্ধারিত কোনো সময়সীমা নেই। যাত্রী পরিপূর্ণ হলেই গাড়িগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত নতুন কোনো পরিবহন যুক্ত হচ্ছে বলে আমার জানা নেই।
যতগুলো পরিবহন এই অঞ্চলে চলাচল করত, সেগুলোই যাত্রীসেবা দিয়ে থাকবে। আর মাইক্রো সার্ভিস আমাদের অন্তর্ভুক্ত কোনো পরিবহন নয়।