জাতীয়
হামলার করে আবার মামলা
বরিশালের বিএডিসি দপ্তরে সেদিন কি হয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশে একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক উল্টো মামলা দিয়ে সাংবাদিকদেরই হয়রানি করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বরিশাল নগরীর সরকারী দপ্তরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন বাংলাভিশন টিভি চ্যানেলের বরিশাল প্রতিনিধি শাহিন হাসান, স্থানীয় ভোরের অঙ্গীকার পত্রিকার রিপোর্টার ইমরান হোসেন এবং সত্য সংবাদ পত্রিকার এম আর শুভ। ঘটনার সূএ থেকে জানাযায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর ১০নং ওয়ার্ড, কেডিসি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বীজ বিপনন বরিশাল এর উপ-পরিচালক এর কার্যালয়ে ডিলারদের সাথে ওই অফিসে কর্মরত হিসাব সহকারী নাহিদের বিরোধ চলছিল । ডিলারদের সাথে নাহিদের গন্ডগোল চলার বিষয়টি জানতে পেরে তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান সাংবাদিকরা। এ সময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ তুলতে গেলে নাহিদের নেতৃত্বে অফিসে অবস্থানরত অন্যান্য কর্মচারী-কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় এবং প্রধান গেট আটকে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের হামলায় সাংবাদিক শাহিন হাসান, ইমরান হোসেন এবং এম আর শুভ আহত হন। সংবাদ পেয়ে বরিশালে কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা ছুটে গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণ করেন। বিষয়টি সাংবাদিক মহলে জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সাংবাদিক নেতা কাজী মিরাজ। তিনি যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনাটি এখানেই শেষ হতে পারতো, সংবাদকর্মীরা যখন বাড়ির পথে তখনি সেই সরকারি কর্মকতা নাহিদের উপর হামলা চালানো হয়। কিন্তু যেখানে সাংবাদিক নেতা কাজী মিরাজ উভয়পক্ষকে মিলিয়ে দেয় সেখানে সরকারি কর্মকতার উপর হামলা করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত সংবাদকর্মীদের দাবি কাজী মিরাজ আসার পরে আমাদের তিনি মিলিয়ে দেন কিন্তু পরবর্তিতে কে বা কারা এই হামলা চালায় আমরা জানি না। তাদের দাবি স্থানীয়রা এই হামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে। পরে হামলার স্বীকার সরকারি কর্মকর্তা নাহিদকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় সৈয়দ আব্দুর রব বাচ্চু বাদী হয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় খান আব্বাসকে ১নং আসামি করে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যাহার নাম্বার ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ১০৯, ৫০৬।