সারাদেশ
পুত্রসন্তান না থাকায় স্ত্রীকে খুশি করতে সিঁধ কেটে শিশু চুরি
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সিঁধ কেটে মায়ের কোল থেকে আড়াই মাস বয়সী শিশু চুরির ১২ ঘণ্টা পর সদর উপজেলার নীলগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক নারীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের নীলগঞ্জ বেত্রাহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাড়াইল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শিশুটিকে উদ্ধার করে।
আটকরা হলেন বেত্রাহাটি গ্রামের রুবেল মিয়া (৩২) ও তার মা সস্তো বেগম (৬০)।
সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটক রুবেলের তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। কোনো ছেলে নেই। রোববার (৯ জুন) রাতে রুবেলের স্ত্রী খাদিজা আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পুত্রসন্তান না থাকায় রুবেল সিঁধ কেটে ওই শিশুটিকে চুরির পরিকল্পনা করেন।
রুবেলের শ্বশুরবাড়ি ও চুরি হওয়া শিশু জুনায়েদের মায়ের বাড়ি একই এলাকায়। চতুর্থবারের মতো স্ত্রী কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় তাকে খুশি করতে মায়ের পরামর্শে জুনায়েদকে চুরি করার সিদ্ধান্ত নেন রুবেল। জুনায়েদকে চুরির পর খাদিজা একসঙ্গে একটি ছেলে ও একটি মেয়েসন্তান জন্ম দেন বলে প্রচার করেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে রুবেলের বাড়িতে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে শিশু চুরির ঘটনা।
এদিকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর তার মা নাজনীনের কোলে তুলে দেন পুলিশ সুপার। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে রোববার রাতে জেলার তাড়াইল উপজেলার তালডাঙ্গা শাহবাগ গ্রামে সিঁধ কেটে নাজনীন আক্তারের কাছ থেকে আড়াই মাস বয়সী শিশু জুনায়েদকে চুরি করেন রুবেল।
শিশু জুনায়েদের বাবা সাজ্জাদ হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। তবে শিশু জুনায়েদের জন্মের কিছুদিন আগে থেকে তাড়াইল উপজেলার তালডাঙ্গা এলাকায় বাবার বাড়িতে বসবাস করেন নাজনীন আক্তার।