দশমিনা
দশমিনায় মা হলেন পাগলী বাবা হয়নি কেউ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাগলী মা হয়েছেন। খবর পেয়ে সবাই দেখতে এসেছেন মা ও বাচ্চা শিশুকে। ফুটফুটে শিশুর মায়াবী মুখ দেখে সবারই মমতায় আগলে রাখার ইচ্ছে। কিন্তু কেউ আর শিশুটির বাবার পরিচয় দেননি। তারপরেও সমাজ ব্যবস্থায় কেউ না কেউ পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। এভাবেই বেঁচে থাকে মানবতা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার ৬ নম্বর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচে এক পাগলী মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়ে মা হয়েছেন। পাগলীর মা হওয়ার কথা লোকমুখে জানাজানি হলে মা ও বাচ্চা শিশুকে দেখতে শিশুসহ নারী-পুরুষরা ভিড় করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল এর নির্দেশে পাগলী মা ও বাচ্চা শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মা ও বাচ্চা শিশুটি সেখানে এখন চিকিৎসক-নার্সের
সেবা যত্নে আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫-২০ দিন আগে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এক পাগলী নারী আসেন। সন্তান সম্ভাবনা ওই পাগলী নারী বেশি কথা বলেন না। কেউ কিছু খেতে দিলে খান। তবে জোর করে কারো খাবার খান না।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই পাগলী প্রসব করেন বলে বাংলা বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীর জানান। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আনোয়ার হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার
জন্য নিয়ে আসতে পরামর্শ দেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, মানষিক ভারসাম্যহীন ওই নারী কোনো তথ্যই দিতে পারছেনা। বাচ্চাকে খাওয়াতেও চাচ্ছেন না।
অনেক বুঝিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য রাজি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। মা ও বাচ্চার অবস্থা ভাল। আর সন্ধ্যায় জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে বাচ্চার বিষয় সিদ্ধান্তের জন্য।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজ রহমান জানান, হাসপাতালের একটি রুমে মা ও বাচ্চা শিশুটিকে রাখা হয়েছে।
সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স তাদের সেবায় নিয়োজিত আছেন। বাচ্চা ও তার মা বর্তমানে সুস্থ ও ভালো আছেন। পাগলী মা যেন পালিয়ে যেতে না পারেন তারও খেয়াল রাখার জন্য বলা হয়েছে।