বরগুনা
ছাত্র যখন কৃষক!
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ লকডাউনে অলস সময় পাড় না করে, মুক ডাল আবাদে বাম্পার ফলনে খুশি তরুণ চাষী অলি আহমেদ।
বৈশ্বিক করোনায় দফায় দফায় লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজ-কর্মে স্থাবিরতায় আর্থিক স্বচ্ছতা হারাচ্ছে মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। পেশা বদল করেও পারছে না জীবিকার চাহিদা পূরণ।
এমন পরিস্থিতিতে বরগুনার বেতাগী উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা অলি আহমেদ, বরিশাল বিএম কলেজে ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্সের অধ্যায়ন, স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের একাধিক নেতৃত্ব ও সংবাদমাধ্যমের কাজের ফাঁকে কৃষি পন্য উৎপাদন আগ্রহী হয়েছেন।
এবারের জানুয়ারীতে আমান ধান কাটার পরে পতিত জমিতে মুগ ডাল আবাদ করে ব্যাপক ফলনে পেয়ে খুশি অলি আহমেদ। এক একর জমিতে চাষ, সার ও কীটনাশকে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ করে ছয় মন মুগ ডাল (যার বাজার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা) ঘরে তুলেছেন।
তরুণ চাষী অলি আহমেদ জানান, গতবছর ৬ একর জমিতে ইরি ধানের আবাদ করে, ফলন ভালো পেলেও আমন ধান চাষে আয়-ব্যয় সমান সমান। ধান চাষের ঘাটতি পুষাতে মুগ ডাল আবাদ করেছি, সময় মতন বৃষ্টি হলে আরো ভালো ফলন হত। তবে এবারও ইরি ধানের আবাদের প্রস্তুতি নিতেছি।
অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে চাকরির জন্য বিভিন্ন দপ্তরের দরজায় কড়া নাড়া না দিয়ে কৃষি পন্য উৎপাদনে আসুন। পরিবারের ও দেশের চাহিদা পূরণ করে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশী কৃষি পন্য জড়াতে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তরুণ এই চাষী অলি আহমেদ।
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন মজুমদার বলেন, কৃষি তরুণদের উৎসাহিত করতে সব রকমেন সহযোগিতা করা হবে।’