দশমিনা
বিয়ের আগের রাতে গলায় ফাঁস দিলেন বর, দশমিনায় উৎসবের বাড়িতে শোকের ছায়া
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বিয়ের আগের রাতে মো. শুভ (২৬) নামের এক যুবক নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বাদ আসর তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের মীরমর্দন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুভ ওই গ্রামের প্রবাসী মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বাদ আসর শুভর বিয়ের কালেমা ও রেজিস্ট্রি কাবিন হওয়ার দিন ধার্য ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ে বিয়ের আনন্দ উৎসব চলছিল। বাড়ি রঙিন আলোয় সাজানো হয়েছিল এবং বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে চলছিল নাচ-গান। শুভ নিজেও সেই নাচে অংশ নেন।
পারিবারিক সূত্রমতে, নাচ-গানের মাঝেই শুভ তাঁর বাড়ির সামনে থাকা নিজস্ব দোকানে যান। অনেকক্ষণ পেরিয়ে গেলেও শুভ ফিরে না আসায় তাঁর মা দোকানে খোঁজ নিতে যান। দোকানে গিয়ে তিনি দেখেন, শুভর দেহ দোকানের আড়ার সঙ্গে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে।
মায়ের চিৎকারে আত্মীয়স্বজন এসে দ্রুত ঝুলন্ত শুভকে নামিয়ে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এইচ এম আলভী জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শুভ মারা যান। তাঁর গলায় দড়ির স্পষ্ট দাগ দেখা গেছে।
শুভর দাদা আবদুর রব হাওলাদার বলেন, ‘শুভ আমার নাতি। ওর বাবা সৌদি আরবে থাকে। আমরা নিজেরাই মেয়ে দেখেছি এবং ওরও পছন্দ হয়। সন্ধ্যায় মামাতো ভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-আনন্দে মেতে ছিল। সে কেন এমন করল, তা আমাদের কারও বোধগম্য নয়।’ শুভর মামাতো ভাই মো. রাবিনও একই কথা জানান।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ শুভর মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) সকাল ৬টায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।