বরিশাল
২৭ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদান
বরিশাল বিভাগে মোট ২৭ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৯৭ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। এ তথ্য জানানো হয়েছে সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে ডাক্তার ও নার্সদের এইএফআই সার্ভিলেন্স ট্রেনিং ও ওরিয়েনটেশন সভায়। সভাটি মঙ্গলবার সকালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বলেন, “টাইফয়েড টিকা গ্রহণে ভ্যাকসিনেশন অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল টিকা প্রাপ্য শিশুকে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে হবে।” তিনি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শতভাগ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
সভায় জানানো হয়, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৬৫ হাজার ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৩২ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। টিকা কার্যক্রমের আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
প্রথম ধাপে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে, পরবর্তী ধাপে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকা প্রদান করা হবে। সভায় আরও জানানো হয়, টাইফয়েড টিকায় সাধারণত কোনো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। টিকা নেওয়ার পর বমি ভাব, টিকাগ্রহণের স্থানে লালচে ভাব বা সামান্য জ্বর হতে পারে, তবে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ নয়। এছাড়া খালি পেটে টিকা গ্রহণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মঞ্জুরুল ইমাম সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। সভার সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর। সভায় ডাক্তার, নার্স ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।