বরিশাল
ববি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণে একদফা দাবিতে আড়াই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর শিক্ষার্থীরা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২টি দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া প্রতিবাদ জানিয়ে তার অপসারণ দাবি করেন। অবিলম্বে উপাচার্যকে অপসারণ না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল শাটডাউন করে দেয়ার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ক্যানসার আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে সহায়তা চেয়েও না পেয়ে বিনাচিকিৎসা মৃত্যুর ঘটনা তুলে তীব্র প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। এক দফার আন্দোলনে ববি সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু ৬ মাস কেটে গেলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয় নি। জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম শাহরিয়ার শানকে ছাত্রলীগ দরজা ভেঙে নিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। অথচ যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে আওয়ামী কায়দায় একের পর এক মামলা দিচ্ছে ববি প্রশাসন। এসব কারণে উপাচার্য তার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন করে চলেছেন। পাশাপাশি যারা দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক আন্দোলনে করে আসছেন তাদের কারও কথা কর্ণপাত করেননি তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ক্যানসার আক্রান্ত এক শিক্ষার্থীর সাহায্যের আবেদন চেয়ে দরখাস্ত করেন। কিন্তু পাঁচ মাসে উপাচার্যের স্বাক্ষর মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত গণতান্ত্রিক পরিষদে ওনার মত স্বৈরাচারী লোক থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। যদি অবিলম্বে এ স্বৈরাচার উপাচার্যকে অপসারণ না করা হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ শাটডাউন করে দেওয়া হবে। এখানে শিক্ষার্থী বান্ধব কোনো ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।