বরিশাল
বরিশালে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ: থানায় মামলা, মেম্বারের যোগসাজশে রক্ষা!
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সদর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউপি সদস্য মোঃ কামাল মেম্বারের ধামাচাপা দিতে দৌড় ঝাপ শুরু করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত (২০ মার্চ) চর বুখাইনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক যুবক চরমোনাই ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড চর বুখাইনগর এলাকার বাসিন্দা আনসার আকনের ছেলে মোঃ কাওছার আকন (৩০)। ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী মোঃ জুয়েল প্যাদা জানান, কাওছার আকন তার খালাতো ভাই। এই সুবাদে বিভিন্ন সময় তার নিজ্ব বসত গড়ে আশা যাওয়া করতেন।
কিন্তু গত (২০ মার্চ) কাজের জন্য সকালে বের হয়। ফাঁকা ঘরে আমার স্ত্রী’কে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। আমি তাদের হাতেনাতে ধরলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ কামাল মেম্বার কাওছারকে ছেড়ে দিতে হুমকি দেয়। আমি ইউপি সদস্য কামাল মেম্বারের হুমকির ভয়ে কাওছারকে ছেড়ে দেই।
আমি থানায় মামলা করতে রওনা দিলে কামাল মেম্বার বিচার করার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন তারিখ দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। তার কাছে বিচার না পেয়ে গত (২৪ এপ্রিল) বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানায় একটি ধর্ষণের ঘটায় মামলা দায়ের করি।
মামলা দায়ের করায় আমাদের ওপর ইউপি সদস্য মোঃ কামাল মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকার মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যার জন্য আমার সুখের সংসার নষ্ট হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ও আমাদের নিরাপত্তার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও এই ইউপি সদস্য মোঃ কামাল মেম্বারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা সাংবাদিক ভাইদের কাছে তুলে ধরবো। ভুক্তভোগী নারীর দাবী, ধর্ষক কাওছার আকন চরমোনাই ইউনিয়নে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না।
এঘটনায় ইউপি সদস্য মোঃ কামাল মেম্বারকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে কিন্তু আসামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করার জন্য তৎপরতা চলমান রয়েছে।