পটুয়াখালী
বাউফলে টেন্ডার বাক্স খোলার পর সর্বোচ্চ দরদাতার উপর হামলা
পটুয়াখালীর বাউফলে হাট-বাজার ইজারার টেন্ডার বাক্স খোলার পরই সর্বোচ্চ দরদাতার উপর হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের রোর্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট ইজারার জন্য দরপত্র আহবান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বাক্স খোলার পর ২টি দরপত্র পাওয়া যায়।
এরমধ্যে ৩৫ লাখ টাকা মূল্য দিয়ে ১টি দরপত্র জমা দেন আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসীম উদ্দিন পঞ্চায়েত অপরটি ৩৭ লাখ টাকা মূল্য দিয়ে জমা দেন একই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলমাছ তালুকদার।
এরপর ইজারাদার হিসেবে নাম ঘোষণা পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নীচের সড়কে অপেক্ষা করছিলেন আলমাছ তালুকদার। এসময় বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন পঞ্চায়েত দলবল নিয়ে আলমাছ তালুকদারকে এলোপাতাড়িভাবে চর থাপ্পর, কিল ঘুষি মারতে থাকেন।
এক পর্যায়ে আলমাছ তালুকদারের লোকজন খবর পেয়ে সেখানে গেলে জসীম পঞ্চায়েত চলে যান। পরে আহত আলমাছ তালুকদারকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আলমাছ তালুকদার বলেন, প্রথমে আমাকে জসীম পঞ্চায়েত হাটের ইজারায় অংশ নিতে বারন করেন। প্রাণনাশের হুমকি দেন। আমি দরপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। দরপত্র বাক্স খোলার পরই তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার উপর চড়াও হন।
আমি এর বিচার চাই। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন পঞ্চায়েত বলেন, আলমাছ তালুকদারের উপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তিনি অসদাচরন করায় সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, দরপত্র বাক্স খোলার বিষয়টি জানা নেই। এখন পর্যন্ত হামলার অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন,আমার কার্যালয়ে অথবা কার্যালয়ের সামনে এরমক কোন ঘটনা ঘটেনি। বাহিরে কি হয়েছে তা আমার জানানেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।