বরিশাল
বরিশালে শ্রমিক নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশের শুরুতেই একটি মিছিল নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মল্লিকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক খুকু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য শহিদুল শেখ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলার দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ দপদপিয়া ইউনিয়নের সভাপতি রমজান আকন, বরিশাল রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ২৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক রিপন হাওলাদার।
এ সময়ে নেতারা বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১৪ মার্চ বেলা ১১টায় জামাল গাজীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী মোশারফ হোসেনের বাড়িতে ভাঙচুর করে এবং তার বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের আহত করে বাসা থেকে টাকা পয়সা,গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। এরপর শ্রমিকনেতা মোশারফ ভাইয়ের ভাবি সুখী গত ১৪ মার্চ বিকেল ৪টায় এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগ দেওয়ার খবর পেয়ে জামাল গাজীর নেতৃত্বে ১৪ মার্চ রাত আনুমানিক ৮টায় একদল সন্ত্রাসী সোনারগাঁও টেক্সটাইল কারখানায় কর্মরত অবস্থায় ইফতারের সময় মোশারফ হোসেনকে ডেকে নিয়ে দপদপিয়া ব্রিজের কাছে নিয়ে গিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে জখম করে। পরে কারখানার শ্রমিকরা তাকে কারখানায় না দেখে খুঁজতে বের হলে তাকে আহত অবস্থান টোলের কাছ থেকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নেতারা আরও বলেন, বাড়িতে হামলা করে আবার কারখানায় গেট থেকে তুলে নিয়ে শ্রমিকনেতার ওপর এ সন্ত্রাসী হামলা শ্রমিকরা কোনোভাবেই সহ্য করবে না। জামাল গাজী রূপাতলীর একটি প্রভাবশালী নেতার ক্ষমতা দেখিয়ে এ হামলা করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শ্রমিকের একতার সামনে কোনো শক্তিই টিকবে না।
যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে বরিশালের সব কারখানা এক হয়ে বৃহৎ আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন।