বরিশাল
বরিশালে মামলার প্রতিবাদে বাস শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রাফিক পুলিশের দেওয়া মামলার প্রতিবাদে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলা এই অবরোধে শ্রমিকরা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ- ট্রাফিক পুলিশ সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে বিভিন্ন বাসে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শুধু বরিশাল নয়, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে একই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। শ্রমিকরা এসব মামলা বন্ধের দাবি জানান।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট লেগে আছে। যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, নগরীর অভ্যন্তরীণ অটোরিকশা ও রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। বাস কাউন্টারের সামনেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অবরোধের কারণে টার্মিনাল ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা কোনো গাড়িই এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলাচল করতে পারেনি। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। গন্তব্যে যেতে না পেরে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বরগুনা থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসা যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাস বরগুনা থেকে এসেছে, কিন্তু বাস ছাড়তে পারছে না। এক ঘণ্টা হয়েছে এখানে আটকা পরেছি।’
অপর যাত্রী রুবিনা বেগম বলেন, ‘আমরা তো সাধারণ মানুষ, এই ধরনের অবরোধ হলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট আমাদেরই হয়। কোনো ব্যবস্থা নেই।’
বাস শ্রমিক সাহাদাত হোসেন লিটন বলেন, ‘আমি রাস্তায় নির্ভয়ে গাড়ি চালাতে চাই। কিন্তু প্রশাসনের ভয়ে থাকতে হয়। একটি বাসের গতি ৬০ কিলোমিটার ছাড়ালেই মামলা দেওয়া হয়। আগের সরকারের নিয়মেই সব চলছে। এই ফ্যাসিবাদী নিয়ম থেকে মুক্তি চাই।’
বাস শ্রমিক গোলাম রাব্বি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ সকাল ৬টা থেকেই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে মামলা দেওয়া শুরু করে। আমরা এই হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।’
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. শরফুদ্দীন বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে হয়। আমরা তাই করেছি। পরে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’