আইনজীবী সমিতির ভোট… নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ২৭ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ২৭ প্রার্থীর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এই তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনজীবী সমিতির পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে ১১ টি পদের বিপরীতে এই ২৭ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহন করবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের সদস্য এড উজ্জল রয়। তিনি আরো জানান, আগামি ১৩ ফেব্র“য়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে ১১ টি পদের বিপরীতে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ছাড়াও গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদের ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাদের মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেন। এর মধ্যে থেকে ২৮ জন প্রার্থীতা করার জন্য ফরম জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ জন ফরম জমা না দেয়ায় তারা আগেই বাদ পড়ে যায়। গতকাল চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর আগেই গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রার্থী পরেশ চন্দ্র দে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে ২৭ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য চুড়ান্ত হয়। ২৭ জনের মধ্যে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সমর্থিত ১১ জন করে প্রার্থী রয়েছেন। অপরদিকে গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদে রয়েছে মাত্র ৫ জন। নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট মজিবর রহমান-১ জানান, ১৩ ফেব্র“য়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার অংশ হিসেবে মনোনয়ন পত্র বিক্রয় ও জমা শেষে গতকাল চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্র“য়ারী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। মাঝে দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতী থাকবে। এই নির্বাচনে ৮৬৬ জন আইনজীবী নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তিনি আরো জানান, আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের ২০ এর ক,খ,গ,ও ঘ ধারা সকল আইনজীবীকে মেনে চলতে হবে। যা কোনভাবে লঙ্ঘন করা যাবেনা। এছাড়াও গত বারের ন্যায় নির্বাচনে প্যানেল ভিত্তিক নির্বাচন করা যাবে না। কোনরূপ পোষ্টার, প্রচার পত্র, প্লাকার্ড, মাইক্রোফোন মিছিল ও হাততালি দিয়ে স্লোগানের মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না। কোন সদস্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে হলে নির্বাচন উপ পরিষদের পুর্ব অনুমতি লাগবে। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবেনা। একজনের সাথে অন্য কেউ কেন্দ্রে ঢুকতেও পারবে না। এধরণের কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ভাবে নির্বাচন উপ পরিষদ তার ভোট বাতিল করতে পারবে। এবারের নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কোন এজেন্ট থাকবেনা। এছাড়াও প্যানেল ভিত্তিক কোন সভা করতে পারবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।