ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা
দেশ জনপদ ডেস্ক|১৫:৪৬, আগস্ট ৩১ ২০২০ মিনিট
ভোলার চরফ্যাশনে লাইসেন্সবিহীন জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভুয়া টেকলোজিস্ট দিয়ে ভুয়া রিপোর্ট পেশ করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন। রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে চরফ্যাশন জনসেবা ডায়াগনস্টিকের মালিক রুহুল আমিন খানকে এই জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বেলা ২টায় চরফ্যাশন উপজেলার চেয়ারম্যান বাজারের বাশির দোন এলাকায় থেকে সুমা বেগম তার ৩ বছরের শিশু আফনানকে নিয়ে চরফ্যাশনে কর্মরত শিশু বিশেষজ্ঞ সুমিত্রা মজুমদারকে দেখাতে তার হাসপাতাল সড়কের চেম্বারের নিয়ে আসেন। চেম্বারের এসে তাকে না পেয়ে পাশের জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক রুহুল আমিন খান 'শিশু বিশেষ্ণ ডাক্তার আছে' বলে ওই মহিলাকে তার ডায়াগনস্টিকে ডেকে নেন। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত এক ডাক্তার ডেকে তার চেম্বার বসিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় শিশুটিকে। ওই চিকিৎসক বৃদ্ধ জিয়াউল হক সিবিসি ও বিডাল জন্য দুটি পরীক্ষা দেন। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নিজে টেকনোলজিস্ট ল্যাবরেটরিজ সেজে রির্পোট তৈরি করে ৭৫০ টাকার পরীক্ষার ফি ১৬০০ টাকা দাবি করেন।
এদিকে সুমি তার শাশুড়িকে নিয়ে পাশের ডায়াগনস্টিকে রিপোর্টির মূল্য জানতে চান। এক দোকান, দুই দোকান হতে হতে ঘটনাটি রটিয়ে গেলে অবশেষে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাতে এলাহির হাতে পৌঁছে। মিল্লাহ কমিটির লোকজন নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) রুহুল আমিনকে অবহতি করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই ডায়াগনস্টিক মালিককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
চিকিৎসা নেওয়া শিশুর দাদু বিবি ফিরোজা বলেন, আমাদেরকে শিশু বিশেষ্ণ ডাক্তার আছে বলে ডায়াগনস্টিকের মালিক ডেকে নিয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।