ছাত্রলীগ কর্মী নিয়াজ হত্যার ভিডিও ভাইরাল

রিপোর্ট দেশ জনপদ।। খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হাসিবুর রহমান নিয়াজকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে হত্যাকাণ্ডের নির্মম দৃশ্য দেখা গেছে। যা দেখে খুনিদের শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। আটকরা হলেন- খালিশপুর থানাধীন পৌরসভার মোড় এলাকার মৃত আ কাদেরের ছেলে ইথুম, পিপলস পাঁচতলা নতুন কলোনীরগোলাম মোস্তফার ছেলে তুষার (২৩), মো. নাজমুলের ছেলে সাকিব (২১) ও আব্দুর রহমানের ছেলে নাঈমুর রহমান ফাহিম (১৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে খালিশপুর লাল হাসপাতালের সামনে এসআর ক্রিয়েটিভ কাটস অ্যান্ড কফি সেলুনের ওয়েটিং রুমে ঢুকে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাসিবুর রহমান নিয়াজসহ তিনজনকে গুরুতর জখম করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন হন। তিনি স্থানীয় তৈয়বা কলোনীর বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় জখম খালিশপুর মানষী বিল্ডিং মোড়ের বাসিন্দা আলতাফের ছেলে জোবায়ের (২৫) ও ওয়ান্ডার ল্যান্ড শিশু পার্কের মোড় এলাকার বাসিন্দা মো. সানোয়ারের ছেলে মো রানা (২৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশের ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, হাসিবুর রহমান নিয়াজ স্থানীয় সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। কয়েকজন যুবক তার সঙ্গে থাকতেন। এলাকায় তারা প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করতেন। এ নিয়ে অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। একাধিকবার ঝগড়াও হয়েছে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে। আবার এলাকায় মাদক বিকিকিনির সিন্ডিকেটের সঙ্গে নিয়াজের মতনৈক্য ছিল দীর্ঘদিনের। নিয়াজের কারণে তাদের মাদক বিক্রিতে বিঘ্ন ঘটতো। এ দুটি কারণেই নিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী হাসিবুর রহমান নিয়াজ হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানাই। খালিশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাব্বিরুল আলম জানান, ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় খালিশপুর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।