জালজালিয়াতি করে ডিসিআর ছাড়াই ভিপি সম্পত্তি ভোগ দখল
দেশ জনপদ ডেস্ক|২২:০৭, জুলাই ২২ ২০২০ মিনিট
নিজেস্ব প্রতিবেদক ॥ বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে ভিপি ‘ক’ তফসিল সম্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাকা দালান নির্মান করছে স্থানীয় মৃত তুজম্বার হাওলাদারের পুত্র মালেক হাওলাদার। যার ভিপি কেচ নং ৯/৮২, ৯/৮৩,। সুত্রমতে, বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দেহেরগতি মৌজার জে.এল নং ৩৫, যার এস.এ খতিয়ান নং ৭৩৭, হাল দাগ নং ৪০৫২ এর ১০ শতাংশ জমি বাংলা ১৪১৮ সন পর্যন্ত নবায়ন করে মালেক হাওলাদার ভোগ দখল করে। এর পরে আর মালেক হাওলাদার উক্ত ভিপি সম্পত্তি ডিসিআর করাতে পারেনি। কিন্তু জালজালিয়াতির মাধ্যমে ১৪১৮ সন লেখাকে ঘসামাজা করে ১৪২৬ সন লিখে মুল কাগজটির ফটোকপি করে বাবুগঞ্জ ভুমি অফিসের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবরে আধাপাকা টিনসেট ঘর উত্তোলনের জন্য সহকারি কমিশনার ভুমি, বাবুগঞ্জ অফিসের মাধ্যমে আবেদন করে মালেক হাওলাদার। কিন্তু ওই আবেদনটি ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট জালিয়াতি ধরা পরে। এ ঘটনার পর ভুমি অফিসের কানুনগো মোঃ তৌফিকুর রহমান ও ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এর যোগসাজসে মালেক হাওলাদার ডিসিআর ছাড়াই ভিপি সম্পত্তি দখল করে চলতি বছরের ১৫ মার্চ পাকা ছাদ দিয়ে দালান নির্মান করেন। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই সত্যতা পাওয়া যাবে। এ কারনে স্থানিয় জনমনে খোভ সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি জমিতে দালান করার ব্যাপারে দেহেরগতি ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, সরকারি জমিতে মালেক হাওলাদার দালান নির্মান করেছে সত্যি। তবে কানুনগো স্যারের নির্দেশে স্থানীয় সালিশদার মিলন কাজি ও অন্যান্য লোকজন মিলে দুই গ্র“পের দ্বন্দ্বের মিমাংসা করে অচল নামায় সই করে মালেক হাওলাদারকে মিলন কাজি জমিতে দালান উঠাতে বলে। সেই অচলনামাটি আমার কাছে জমা আছে বলে দাবী করেন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। এ ব্যাপারে সরকারি জমি দখলকারি মালেক হাওলাদারের মুঠো ফোনে জানতে চেয়ে একাধিক বার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সরকারি জমি উদ্ধার করতে জেলা প্রশাসকের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।