নগরীতে প্যাথলজি রিপোর্টে মৃত চিকিৎসকের স্বাক্ষর, তিন জনের কারাদন্ড
দেশ জনপদ ডেস্ক|২১:১০, জুলাই ২২ ২০২০ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মৃত চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান করায় বরিশালের এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই মালিককে ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি নামের শেষে ভূয়া পদবী ব্যবহার করায় এক চিকিৎসককেও ছয় মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিও সীল গালা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে নগরীর জর্ডন রোড এলাকার দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই অভিযান চালানো হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস এর চিকিৎসক নূর এ সরোয়ার সৈকত, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কাফি চৌধুরী ও জসীম উদ্দিন মিলন মুন্সি। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুবিনুল হক মুবিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর জর্ডন রোড এলাকায় সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস এ র্যাব সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মৃত চিকিৎসক গাজী আমানুল্লাহ খান এর বুধবারে (২২ জুলাই) স্বাক্ষরিত একটি প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান করা হয় খাদিজা নামের এক রোগীকে। কিন্তু ওই চিকিৎসক গত ১৯ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন এবং তিনি তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এছাড়া প্যাথলজির সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় করোনায় মৃত্যুবরণ করা চিকিৎসক ইমদাদ উল হকের নাম ব্যবহার করা হচ্ছিলো। একই সাথে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নূর এ সরোয়ার সৈকত নামে একজন চিকিৎসক পাওয়া যায়। যিনি রোগীকে দেয়া ব্যবস্থাপত্রে নামের শেষে বেশ কিছু ভূয়া ডিগ্রি উল্লেখ করেন এবং শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের নাম ব্যবহার করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কাফি চৌধুরী, জসীম উদ্দিন মিলন মুন্সি এবং ভূয়া ডিগ্রিধারী চিকিৎসক নূর এ সরোয়ার সৈকতকে ৬ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয় এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সীল গালা করে দেয়া হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক বলেন, গত দুই মাস আগে কাফি ও মিলন আমার নিচতলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য ভাড়া নেয়। আমি তাদের সাথে একটি ডিড করি এবং তাতে স্পস্ট উল্লেখ রয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন ধরনের বে-আইনি কার্যকালাপ করা যাবেনা। তবে প্রশাসনের অভিযানের ঘটনায় তারা দুজন বাড়ি ভাড়া ডিডের শর্তাবলী ভঙ্গ করেছে। তাই তারা জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। সূত্র জানায়, নগরীর জর্ডন রোড এলাকায় সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিস এর মালিক মিলন মুন্সী বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী গ্রামের মুন্সী বাড়ির ছেলে। এবং কাফি চৌধুরী নগরীর ফকিরবাড়ি রোডের চৌধুরী ভ্যালি’র বাসিন্দা।