নগরীতে গৃহবধুর উপর হামলা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ০০:১১, জুন ২২ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর বাঘিয়া এলাকায় গত শনিবার বিকালে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার শিকার হয়েছে গৃহবধু লাবনী (২৫)। সে বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আহত লাবনী বাঘিয়া এলাকার মৃত আনিসের পুত্র মো: আল-আমিনের স্ত্রী। সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন ও তার মায়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছে। এই নিয়ে আল-আমিনের মা বিএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট থানার এএসআই সুমন স্থানীয় সালিশ মিমাংশার দিন ধার্য করেন। সেই মতে গত শনিবার বিকালে উভয় পক্ষের মানিত স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এএসআই সুমন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের কথা শোনেন। একান্ত পারিবারিক বিষয় হওয়ায় সকলে পারিবারিক কলহ’র চুড়ান্ত সমাধান ও মৃত আনিসের স্থাবর অস্থাবর সম্পদের রেশিও অনুযায়ী বন্টনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। আকষ্মিক ভাবে আল-আমিনের মামা হানিফ ও মোস্তফা আল-আমিনের স্ত্রী লাবনীর উপর হামলা চালায়। এই ব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল-আমিনের স্ত্রী জান্নাতুল মারিয়া লাবনী বলেন,‘ আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার মামা শশুড়, খালা শাশুড়ী ও তাদের সাথে আগত সন্ত্রাসীরা আমাকে এলোপাতারী মারতে শুরু করে। এই সময় আমার মামা শশুড় আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর যায়গায় আঘাত করে ও টেনে হিচরে আমার জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। আমার স্বামী এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা চালায় তারা। আমার খালা শাশুড়ী আমাকে টেনে হিচড়ে পাশ্ববর্তী পানিতে চুবিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। যার স্বাক্ষী উপস্থিত সালিশগণ ও থানার এএসআই সুমন। সালিশদার আউয়াল মোল¬ার চেষ্টায় আমি প্রাণে বেচে যাই। তিনিই আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।’ লাবনী আরো বলে,‘ আমার ৪ মাস বয়সের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। আমার কিছু হয়ে গেলে ওকে দেখবে কে? আমি ন্যায় বিচার চাই।’ এয়ারপোর্ট থানার এ এসআই সুমন বলেন,‘ মা ছেলের ব্যাপার, মানবিক কারণে আপোষ মিমাংষার চেষ্টা চালিয়েছি। বৈঠক শেষে আমরা রাস্তার উপর আসতে না আসতেই অতি উৎসাহিদের কারণে বিশৃংঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে।’ এব্যাপারে বিশিষ্ট সমাজ সেবক আ: আউয়াল মোল¬া বলেন,‘ আমি উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি থামিয়ে লাবনীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।’