বিএনপির জোটে নুর/ পটুয়াখালী ৩ আসনে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ২১:৪৫, ডিসেম্বর ২৪ ২০২৫ মিনিট

বিএনপি জোটে যোগ দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদানের ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে শরিক দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণা অনুযায়ী, এলডিপি থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়া ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা মোস্তফা জামান হায়দার পিরোজপুর-১, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া বিএনপিতে যোগ দেওয়া ববি হাজ্জাজ ঢাকা-১৩, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি রশিদ যশোর-৫ এবং এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব আসন শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, নির্বাচনি সমঝোতার ভিত্তিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চারটি আসনে বিএনপি প্রার্থী দেবে না। জমিয়তের প্রার্থীরা হলেন :  নিলফামারী-১ আসনে মো. মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনির হোসাইন কাসেমী, সিলেট-৫ আসনে মো. উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জুনায়েদ আল হাবীব। ৩০০ আসনের সংসদে এরইমধ্যে দুই দফায় ২৭২টি আসনে বিএনপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮ আসনের মধ্যে চারটি আসনে জমিয়তের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। আজ শরিকদের জন্য আরও আটটি আসন ছাড় দেওয়া হলো। ফলে এখনো ১৬টি আসন চূড়ান্ত ঘোষণা বাকি রয়েছে।’