বরিশালে বসতঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবাসীর স্ত্রী!

এ.এ.এম হৃদয় | ২২:১৩, ডিসেম্বর ২২ ২০২৫ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী কারিমা জাহান পলি। বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের চর আইচা গ্রামে স্বামীর সংসারে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন দীর্ঘবছর। কিন্তু পলির স্বামীর অনুপস্থিতিতে একাধিকবার তাদের জমি দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে ননদ ও ভাসুরের একটি গ্রুপ। দফায় দফায় হামলা করা হয় পলির পরিবারের ওপর। নিরুপায় হয়ে আইনের দরজায় যেতে বাধ্য হয় পলির পরিবার। দফায় দফায় হামলার ঘটনায় মামলাও দায়ের করেন তারা। মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও গিয়েছিলো ননদ ও ভাসুর গ্রুপের লোকজন। তবে আসামিরা জামিন পাওয়ার পর ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে নিজের বসতঘর ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘ চার বছর বাবার বাড়ি চলে যায় পলির পরিবার। এদিকে আসামিপক্ষের লোকজন গত ১৫ নভেম্বর পলির বসতভিটার গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয়। এমন খবরে ঘটনাস্থলে যায় পলি। এসময়ে পলিকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার মাথায় দা দিয়ে কোপায় তারই ভাসুর আলম ঘরামীর স্ত্রী জেসমিন ও ছেলে আজিম, মাসুদ বেপারী ও তার ছেলে মেহেদীসহ ১০/১৫ জন। হামলার সময়ে পলিকে বাঁচাতে তার ছেলে রাফিয়ান ইসলাম এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। একপর্যায়ে মা-ছেলেকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে যাওয়ার আগে সেদিন দুপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় কাউনিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। প্রবাসীর স্ত্রী কারিমা জাহান পলি অভিযোগ করে বলেন, নিজ পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার কারণে বর্তমানে শত্রুপক্ষের কাছ থেকে দূরে চলে আসছি। তাতেও রক্ষা হয়নি আমার। আমাদের ওপর হামলার পরে মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছে কয়েকজন আসামি। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে ফের আমার ও আমার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি প্রতিপক্ষ। আমি এখন মহান আল্লাহর দরবারে এসব অপকর্মের বিচার চাই। তবে হামলার ঘটনায় প্রতিপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলায় আহত রাফিয়ান ইসলাম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সঠিক বিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছি।