প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আক্রমণের প্রতিবাদে বাউফলে মানববন্ধন

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ২১:০২, ডিসেম্বর ২২ ২০২৫ মিনিট

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং দ্য ডেইলি নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবিরকে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ঘটনার প্রতিবাদে পটুয়াখালীর বাউফলে মানবন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাউফল প্রেসক্লাবের আয়োজনে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে বাউফল প্রেসক্লাবের বীর উত্তম সামসুল আলম তালুকদার ভবনের সামনের সড়কে এক ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়। বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাউফল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ভোরের কাগজের অতুল চন্দ্র পাল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মানবকণ্ঠের মো. জসিম উদ্দিন, সমকালের জিতেন্দ্র নাথ রায়, ইত্তেফাকের কৃষ্ণ কান্ত কর্মকার,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইটিভির অহিদুজ্জামান ডিউক,ইনকিলাবের নূরুল ইসলাম ছিদ্দিকী মাসুম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. অলিয়ার রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বাউফল উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক অহিদুজ্জামান সুপন, বাউফল পৌরসভা বস্ত্র সমিতির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য তরিকুল ইসলাম মোস্তফা, জুয়েলারি সমিতির বাউফল পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার দাস প্রমুখ। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন,‘সাংবাদ মাধ্যম হল আলো। আলো কখনো পোড়ে না, পোড়ানো যায় না। আগুনে আলো আলোকিত হয় বহুগুনে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সেই আলো,আগুনের আলো হয়ে ফিরেছে সবার মাঝে আলো ছড়িয়ে দিতে। অতুল চন্দ্র পাল বলেন,‘ সংবাদপত্রের কারণে যে কোনো সরকার স্বৈরাচার হতে ভয় পায়। গণতন্ত্র টিকে থাকে সংবাদপত্রের কারণে। সেখানে শীর্ষ সংবাদপত্র প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর আক্রমন স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হুমকিস্বরূপ। এভাবে চলতে পারে না, চলতে দেওয়া যাবে না।’ সুজনের সহ-সভাপতি অহিদুজ্জামান সুপন বলেন,হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম আলোকে সরকারি দপ্তরে নিষিদ্ধ করেছিল। সংসদে পতিত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা বলেছিলেন,প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু দেশের শত্রু। সেই দুটি পত্রিকার ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়া খুবই দুঃখ ও ন্যক্কারজনক। ব্যবসায়ী পলাশ কুমার দাস বলেন,‘ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিল। অথচ একটি উগ্রগোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে মব সৃষ্টি করে এ ধরনের হামলা করে যাচ্ছে। অহিদুজ্জামান ডিউক বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা চালায়। ঢাকার কার্যালয় ছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকায় প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই রাতে হামলা, লুটপাট ও অগুন দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর যেভাবে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা সাংবাদিকদের জন্য এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত উগ্রগোষ্ঠীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ জাতীয় ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস না দেখায়।