পিরোজপুরে প্রতারণার মাধ্যমে ১০১ কোটি টাকা পাচারের সতত্যা পেয়েছে সিআইডি
এ.এ.এম হৃদয়|২০:৫৬, ডিসেম্বর ১২ ২০২৫ মিনিট
পিরোজপুরে উচ্চ মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে প্রতারণার মাধ্যমে ১০১ কোটি টাকার বেশি অর্থ সংগ্রহ ও পাচারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাজারেরও বেশি বিনিয়োগকারীর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ৭ জন ব্যক্তি এবং ‘এহসান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ ও ‘এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেড’ নামে দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।
তদন্তে উঠে এসেছে, প্রতিষ্ঠান দুটি ২০০৮ সাল থেকে নিজেদের বৈধ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচয় দিয়ে পিরোজপুর, বরিশাল ও আশপাশের এলাকায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করত। উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে তারা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করত। দীর্ঘ সময়ে এভাবে মোট ১০১ কোটি ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৩৮ টাকা সংগ্রহের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।
তদন্তে দেখা গেছে, এই অর্থ প্রতিষ্ঠান মালিকরা ও তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়সহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করে আত্মসাৎ করেছে।
সিআইডি জানায়, প্রধানত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রাগীব আহসান এবং তার স্ত্রী সালমা আহসান প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনা করতেন। এই দম্পতির সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন আবুল বাশার খান, খায়রুল ইসলাম, শামীম হাসান, মাহমুদুল হাসান ও নাজমুল ইসলাম।
প্রতারণার শিকার বিনিয়োগকারীরা পিরোজপুর সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় শতাধিক মামলা দায়ের করেন। এসব মামলা যাচাই করে সিআইডি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় এবং পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি ৭ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অভিযুক্তরা বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় হাজতবাসে আছেন।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, রাষ্ট্রের অর্থপাচারে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোকে আইনের আওতায় এনে আর্থিক স্বার্থ রক্ষায় অভিযান ও অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে সিআইডি।