বৈঠকে প্লান্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় গেটে তালা লাগান বিক্ষোভকারীরা।
২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্টের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ বন্ধ করার বিষয় তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাদের প্লান্টের ভিতরে রেখে গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। এতে তিনি ও ওসিসহ প্লান্টের কর্মকর্তারা ভিতরে আটকা পড়েছেন।
ভোলা- বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীদের।
এর আগে সকাল থেকে ভোলা- বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। জেলা সদর, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহনে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে সেতু বাস্তবায়নের দাবি জানান ভোলাবাসী।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১ টায় ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা ট্রাকে করে বোরহানউদ্দিন যান। সেখানে আবদুল জব্বার কলেজ মাঠে আন্দোলনকরীরা সমাবেশে অংশ নেন।
পরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে না গিয়ে তারা ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পুলিশ নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের ঘিরে রাখেন। আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।