বিজেএস এ ৯৫ তম হয়েও গেজেট ভুক্ত হলেন না ববির সুব্রত পোদ্দার
নিজেস্ব প্রতিবেদক|২০:৪৫, নভেম্বর ২৮ ২০২৫ মিনিট
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত পোদ্দার তিন বছরের নিরলস পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে (বিজেএস) সহকারী জজ হিসেবে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। স্নাতকে সিজিপিএ ছিল মাত্র ২.৯৮, যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত ১২ জনের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবুও হার মানেননি নিয়মিত ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করে ৯৫তম হয়ে পাশ করেছেন।
কিন্তু চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের পর দেখা যায়, সেখানে নেই তাঁর নাম। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।
সুব্রত পোদ্দারের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের শুকতাইল ইউনিয়নের পাইকেরডাঙ্গা গ্রামে। বাবা শিবেন পোদ্দার ও মা সুমিত্রা পোদ্দারের দুই সন্তানের মধ্যে সুব্রত পোদ্দার জ্যেষ্ঠ। তিনি আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্ত রিপোর্ট বলছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন রাজনৈতিক দলের সাখে সম্পর্কিত ছিল না। আমরা তাঁর বিষয়ে ইতিবাচক ও সঠিক রিপোর্টই পাঠিয়েছি। কোনো অসঙ্গতি উল্লেখ করা হয়নি।
গেজেটের পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকার্সে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বলছে সুব্রতের প্রতি অন্যয় করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছে আওয়ামীলীগ অমানবিক কাজ ছিল গেজেট থেকে বাদ দেওয়া। তারা দ্রুত গেজেটে সুব্রত পোদ্দারের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়।
ভুক্তভোগী সুব্রত পোদ্দার বলছে, আমি নিজেও জানি না কোন কারণে বাদ দেওয়া হল। আমাদের ভেরিফিকেশন যেহেতু মাত্র ২৮ দিনে করছে কাজেই কোন ভুল থাকতে পারে। আমি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করবো। আশা করি সব দিক বিবেচনা করে অতিদ্রূত সময়ের ভিতর আমার নাম পরবর্তী গেজেটে প্রকাশ করবে।
আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড.সরদার কায়সার আহমেদ বলেন, আমি সুব্রতকে যতটুকু চিনি সে নম্রভদ্র এবং কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। আবার যারা ভেরিফিকেশন করেছে তারা আমাদের থেকে অনেক বেশি বিজ্ঞ মানুষ। তবে যেহেতু কেন বাদ দেওয়া হল সেটার কোন কারণ উল্লেখ করি নাই। এজন্য আমরা আশা রাখি পরবর্তী গেজেটে সুব্রতের নামটা যেন অন্তভুক্ত করা হয়। আমাদের অনুরোধ তার সাথে যেন কোন অমানবিক কাজ না করা হয়।