ভারপ্রাপ্তের ভাড়ে ভারাক্রান্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

এ.এ.এম হৃদয় | ১৮:৩৯, নভেম্বর ২৫ ২০২৫ মিনিট

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) দীর্ঘ পাঁচ মাসের অধিক সময় ধরে উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে। এসব পদে পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর ভর করে। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া ও দাপ্তরিক কাজকর্মে তৈরি হয়েছে নানামুখী জটিলতা। চলতি বছরের ১৩ মে শিক্ষার্থীদের টানা ২৯ দিনের আন্দোলনের পর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মামুন আর রশিদকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো এসব পদে কোনো নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এদিকে চলতি বছরের ৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮তম সিন্ডিকেট সভায় রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অবসরে পাঠানোর পর থেকে রেজিস্ট্রার দপ্তরে চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রক্রিয়া। কখনো একজন শিক্ষক, আবার কখনো ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস, চারটি আবাসিক হলের প্রভোস্ট, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিয়ান, ছাত্র-শিক্ষক পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল এবং একাধিক কমিটিও চলছে ভারপ্রাপ্তদের হাতে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন পদগুলো শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। একজনের ওপর একাধিক দায়িত্ব দেওয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারা দ্রুত পদগুলোতে নিয়োগ দিয়ে সংকট নিরসনের দাবি জানিয়েছে। বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দপ্তর-১ এর সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে কল ও এসএমএস দিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি। ববির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রমে কোনো জটিলতা হচ্ছে না। তিন শীর্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।'