জামিন পেলেন আসাম থেকে পুশ ইন হওয়া ভারতীয় নাগরিক সখিনা বেগম
পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের মামলায় ভারতীয় নাগরিক সখিনা বেগমকে (৬৮) জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন তাঁকে জামিন দেন।
আসামি সখিনা বেগমের পক্ষে আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি আদালতকে বলেন, সখিনা বেগম ইচ্ছে করে এ দেশে আসেননি, জোর করে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া এ মামলার ধারা জামিনযোগ্য। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে জামিন দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’-এর অধীনে সখিনার বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলা করে।
এফআইআরে (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) বলা হয়েছে, পুলিশ ভাষানটেক বস্তি এলাকার একটি গলির প্রবেশপথ থেকে সখিনাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তাঁর বাড়ি ভারতের আসামে বলে জানান। তিনি কিছু বাংলা ও তাঁর আঞ্চলিক অসমীয়া ভাষা বলতে পারলেও পাসপোর্ট বা ভিসা দেখাতে পারেননি। পুলিশের অভিযোগে আরও বলা হয়, সখিনা কীভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বা ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় পৌঁছেছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর কয়েক দফা জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ হয়। সর্বশেষ ১০ নভেম্বর সখিনাকে আদালতে হাজির করা হলে সেদিনও জামিন নামঞ্জুর হয়। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর তিনি আদালতের হাজতখানায় অঝোরে কাঁদতে থাকেন।
বাংলাদেশি ও ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আসামের নলবাড়ি জেলার বারকুরা গ্রামের বাসিন্দা সখিনা বেগমকে গত মে মাসে তাঁর বাড়ি থেকে হেফাজতে নেয় আসাম পুলিশ। এরপর তিনি দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিলেন এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। পরে জুনের প্রথম সপ্তাহে সখিনাকে ঢাকার মিরপুর ভাষানটেক এলাকায় রাস্তার পাশে একজন পথচারী খুঁজে পান।
