সিজার অপারেশনে গৃহবধূর মৃত্যু, পালিয়েছে ক্লিনিকের লোকজন

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ১৯:৩৪, নভেম্বর ২৩ ২০২৫ মিনিট

‎বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোড়ের মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের পর মোসা. সাথী আক্তার ওরফে পরী (২২) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনার পর ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স, স্টাফরা পালিয়ে গেছেন। এতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে। রাতে নিহত সাথীর স্বামী থানায় লাশ নিয়ে গিয়ে মামলা করেন বলে জানা গেছে।

নিহত সাথীর স্বামী মো. ইমন আকন জানান, তাঁদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী উপজেলা ‎উজিরপুরের ভরষাকাঠিতে (আকন বাড়ি)।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্ত্রী সাথীকে বাটাজোড় মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৪টায় সাথীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানায় অপারেশন সফল হয়েছে। ‎কিন্তু এর মাত্র ১৫ মিনিট পরই অর্থাৎ ৪টা ৪৫ মিনিটে রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রোগী নিজে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সেই মুহূর্তে ক্লিনিকে কোনো অক্সিজেন সরবরাহ ছিল না। রোগীর অবস্থা দ্রুত অবনতি হতে দেখে ডাক্তার ও ক্লিনিকের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের দায় এড়াতে ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে জানা যায়, সেখানেই সাথীর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে জানতে ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. শমীরন হালদারকে ফোন দিলে রিসিভ করেননি। পরে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

মদিনা ক্লিনিকের পরিচালক মো. ডালিমের মোবাইলে কল দিলে সুজন নামের একজন রিসিভ করে বলেন, ডালিম ভাই খুলনার রূপসা এসেছিলেন। শুনেছেন ক্লিনিকের ওটিতে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই তাড়াহুড়ায় মোবাইল ফোন রেখে চলে গেছেন। এরপর আর খবর নেই।

এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।