বরিশালে চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
নিজেস্ব প্রতিবেদক|২২:৫৪, নভেম্বর ২২ ২০২৫ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের গৌরনদীতে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বসতবাড়িতে ঢুকে হামলা ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-টরকীর চর গ্রামের মৃত ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে শওকত হোসেন এবং লাখেরাজ কসবা গ্রামের মিজান আকনের ছেলে ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী আকন।
মামলার বাদী গৌরনদীর টরকীর চর গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী ছালমা আক্তার এজাহারে বলেন, আমার স্বামীর ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ওপর দালান নির্মাণকাজ শুরু করলে চাঁদা দাবি করে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী ও তার সহযোগীরা। পরবর্তী সময়ে মিষ্টি খাওয়ার কথা বললে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। ফের নির্মাণকাজ শুরু করলে বেলা ১১টার দিকে শওকত ও মেহেদী আকন তাদের সহযোগীদের নিয়ে আমার বাড়িতে এসে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় আমি তাদের বলি যে, ইতোপূর্বে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন কোনো চাঁদার টাকা দেব না। তখন তারা বলেন যে, আমরা আগে মিষ্টি খাওয়ার টাকা নিয়েছি; এখন আমাদের চাঁদার টাকা দিতে হবে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় আমাকে রক্ষায় আমার দুই জা এগিয়ে এলে তাদের পিটিয়ে গুরুত্বর আহত এবং এক জায়ের শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়। আমরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন। এ সময় চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আমরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা মেহেদী আকন বলেন, চাঁদা দাবির ঘটনা সঠিক নয়। আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আমাকে মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় দুই আসামিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে।