ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
বরগুনার আমতলী পৌর শহরে মো. সোবাহান খলিফা নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাবিব খান ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হাবিব খান উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঘটখালী গ্রামের রুস্তম খানের ছেলে। আহত সোবাহান খলিফাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ভুক্তভোগী সোবাহান খলিফা একই এলাকার আশ্রাফ আলী খলিফার ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এলাকায়।
জানা যায়, আমতলী পৌর শহরের এ কে স্কুল সড়কের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. সোবাহান খলিফা গতকাল রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে ওয়াপদা এলাকার বাসভবনে যাচ্ছিলেন। তিনি ফায়ার সার্ভিস এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই হাবিব খানের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী ওত পেতে থেকে তাঁর ওপর হামলা চালায়।
অভিযোগ অনুযায়ী, সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাঁকে গুরুতর জখম করে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। সোবাহান খলিফার চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। হামলায় তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়।
আহত সোবাহান খলিফা বলেন, ‘ফার্মেসি বন্ধ করে ওয়াপদা এলাকার বাসায় যাচ্ছিলাম। ফায়ার সার্ভিস এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই পেছন দিক থেকে হাবিব খানের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তারা আমার সঙ্গে থাকা এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।’
আজ বিকেলে ব্যবসায়ী সোবাহান খলিফা বাদী হয়ে পশ্চিম ঘটখালী এলাকার হাবিব খানকে প্রধান আসামি করে মোট সাতজনের নামে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে অভিযুক্ত হাবিব খান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্টো দাবি করেন, গত বুধবার সোবাহান খলিফা তাঁকে দোকানে আটকে মারধর করেছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুম বিল্লাহ জানান, আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ বিষয়ে মামলা নেওয়া হবে।’
