বাড়ির পুকুর ঘাটে যুবলীগ নেতার লাশ, পরিবারের দাবি ‘খু/ন’
এ.এ.এম হৃদয়|২১:১৫, নভেম্বর ১৬ ২০২৫ মিনিট
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম হাওলাদারকে (৪২) পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার স্বজনেরা। রোববার সকালে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে তার (আমিনুল) নিজ বাড়ির পুকুরের পাকা ঘাটলার নিচ থেকে আমিনুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়নাতদন্তের জন্য আমিনুলের মরদেহ দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত আমিনুল ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদারের মেজো ছেলে।
নিহতের স্ত্রী পারভিন আক্তার বলেন, আওয়ামী লীগ করার কারণে আমার স্বামী আমিনুল ইসলাম হাওলাদার বাড়ির বাহিরে বের হতেন না। প্রায়ই রাত ৯টা-১০টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে আমিনুল আমাদের পুকুরের পাকা ঘাটলায় গিয়ে ২/১ ঘণ্টা বসে সময় কাটাতেন। শনিবার রাত ১০টার দিকে আমার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে ঘরে ফিরে আসেননি। স্বামী ফোন রিসিভ না করায় রাত ১১টার দিকে আমি ও আমার মেয়ে বাড়ির আশপাশ ও পুকুরের পাকা ঘাটলার চারপাশে খোঁজে ওই রাতে স্বামীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাতেই তার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ফোন করেও স্বামীর খোঁজ মেলেনি। রোববার সকালে পুকুরের পাকা ঘাটলার প্রথম সিঁড়িতে স্বামীর মোবাইল ফোন ও স্যান্ডেল দেখতে পাই। এরপর পুকুরে খোঁজা-খুঁজি করে পাকা ঘাটলার নিচ থেকে স্বামীর (আমিনুল) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বড়ভাই মাজাহারুল ইসলাম হাওলাদার ও ভগিনীপতি মিন্টু সরদার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সুপরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা গলায় ও মাথায় রক্তাক্ত জখম করে আমার ভাইকে (আমিনুল) হত্যার পর তার লাশ পুকুরের পাকা ঘাটলার নিচে লুকিয়ে রাখে। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হবে।
গৌরনদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, আমিনুলের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। এতে মরদেহের গলায়, মাথার পিছনে ও মাথার এক পাশে জখমের চিহ্ন লক্ষ্য করা গেছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এই ঘটনায় নিহতের স্বজনদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে, জানান ওসি।’