ফেসবুকে লাইভ দিয়ে ফেঁসে গেলেন যুবক

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ২২:৫৮, নভেম্বর ১২ ২০২৫ মিনিট

‘গাইস এহন রাইত বাজে ২টা ২১, আমরা এহন সেই লেবেলের খানা খাইতে আছি। এ পর্যন্ত শুধু ৭/৮ কেজি দেশি ঘুঘু ও বক পাখির মাংস খাইছি। আরও রান্না হইতাছে। এগুলো সব আমরা শিকার করছি।’ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে ঠিক এভাবেই ফেসবুক লাইভে এসে একাধিক বন্যপাখি রান্না করে খাওয়ার দৃশ্য দেখিয়েছিলেন এক যুবক। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনসহ অ্যানিমল লাভার্স সদস্যদের। এরপরই এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেককে অবগত করেন তারা। এদিকে বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বন বিভাগ, পটুয়াখালীর কলাপাড়া রেঞ্জের কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে পাখি শিকারিকে খুঁজে বের করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অভিযুক্তকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযুক্ত বাইজিদ আমিন বালীয়াতলী ইউপির আমতলী পাড়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহর ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন সাদিক বলেন, অভিযুক্ত যুবক বাইজিদ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অমান্য করে পাখি শিকার শেষে রান্না করে খাওয়ার বিষয়ে অ্যানিমল লাভার্স আমাকে অবহিত করে। পরে বন বিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রসিকিউশন দাখিল করলে ওই পাখি শিকারিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেউ বন্যপাখি শিকার করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।