বরিশালে হাসপাতাল ঘেঁষে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তোলার অভিযোগ

এ.এ.এম হৃদয় | ২০:২০, নভেম্বর ১১ ২০২৫ মিনিট

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পূর্ব ও উত্তর পাশে হাসপাতালের ভাউন্ডারি ওয়াল ঘেঁষে অবৈধভাবে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তোলার পাঁয়তারা করছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী। জানা গেছে, হাসপাতালের ভেতর ও চারপাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে নতুন ভবন নির্মাণ করছেন কতিপয় জমির মালিক। এসব ভবন ভাড়া নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন নিতে তদবির চালাচ্ছেন। অথচ সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ গজ (প্রায় ৯১ মিটার) এর মধ্যে কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্মাণ বা অনুমোদন দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাকেরগঞ্জ উপজেলা ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত, যেখানে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এখানকার একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে হাজারো রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন এখানে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে ও স্বল্প খরচে বিভিন্ন রোগের টেস্ট, ইসিজি, এক্সরে, সিজারসহ নানা চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ী হাসপাতালের গেট ও ভাউন্ডারি ওয়ালের পূর্ব ও উত্তর পাশে অন্তত তিনটি অবৈধ ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান ও রোগীদের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমি আক্তার বলেন, “আমরা শুনেছি হাসপাতালের পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে কিছু ভবন নির্মাণ হচ্ছে। তবে সরকারি হাসপাতালের ভেতর বা ১০০ গজের মধ্যে কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করা যাবে না। নিয়ম-নীতি মেনেই সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।” বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ এলাহী বলেন, “বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন দেওয়া হবে না। আইনবহির্ভূতভাবে কেউ চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসন দ্রুত তদন্ত করে অবৈধ ক্লিনিক স্থাপন বন্ধ না করলে স্বাস্থ্যসেবার মান ও জননিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।