বানারীপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৪ মাংস ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড
নিজেস্ব প্রতিবেদক|২১:০১, নভেম্বর ০৯ ২০২৫ মিনিট
বরিশালের বানারীপাড়ায় অবৈধভাবে মাংস বিক্রির অপরাধে ৪ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জি এইচ এম মুনীরের নেতৃত্বে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে পৌর শহরের বন্দর বাজারের ৪ টি মাংসের দোকানের কারো লাইসেন্স না থাকায় অবৈধভাবে মাংস বিক্রির অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
তারা হলেন মাংস ব্যবসায়ী মোঃকালাম, মোঃআলম, মোঃজামাল ও মোঃকালাম মোল্লা। তাদের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূত ভাবে ব্যবসা পরিচালনা ও গরুর ফিটনেস সার্টিফিকেট না নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এদিকে বানারীপাড়া বন্দর বাজারের মাংস পট্টির ড্রেনে ৭ নভেম্বর (শুক্রবার) গর্ভবতী গরুর মৃত বাচ্চা পাওয়া গেছে। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বানারীপাড়া বন্দর বাজারের ৪ মাংস ব্যবসায়ীর মধ্য থেকে কোন এক ব্যবসায়ী এই ঘৃণিত কাজ করেছে বলে সবার ধারণা ।
তবে সবার সন্দেহের তীর উত্তর পাড় বাজারের সাবেক মাংস ব্যবসায়ী নূরুর দিকে। কারন এর আগে কয়েক বার চোরাই গরু, ছাগল,বিক্রি ও বসন্ত রোগে আক্রান্ত ও গর্ভবতী গরু জবাই করে জরিমানাসহ একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে সে হাজতবাস করেছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়ন থেকে তিনটি গরু চুরি হয়। তার মধ্যে একটি গাভীন (গর্ভবতী) গরু ছিল। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী গরুর মালিক উজ্জ্বল গড়াই বানারীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বন্দর বাজারের মাংস পট্টীর ড্রেনে পাওয়া মৃত বাচ্চাটি ওই গর্ভবতী গরুর হতে পারে। বর্তমানে সেই বিতর্কিত মাংস ব্যবসায়ী নূরু বন্দর বাজারে নতুন দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। অপরদিকে প্রশ্ন থেকেই গেল চোরাই গর্ভবতী (গাভীন) গরু জবাই করে কে বিক্রি করল? সে কি অধরাই রয়ে যাবে?