পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আসুরিয়া গ্রামের সোতা খালের ওপর ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বক্স কালভার্টটি এখনো জনসাধারণের জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়নি। প্রায় দুই বছর আগে নির্মিত এই সেতুটি অ্যাপ্রোচ রোড না থাকায় চলাচলের অযোগ্য অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে এখনো বাঁশ ও কাঠের মই ব্যবহার করে খাল পারাপার করছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সেতুটি নির্মাণ শেষ করলেও দুই প্রান্তে মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক না করায় এটি কার্যত অকেজো হয়ে আছে। এতে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে মই পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা রহিম দফাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “৩২ লাখ টাকা খরচ করে সেতু হলো, কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না। সংযোগ না থাকায় মই বেয়ে পার হতে হয়।” একই অভিযোগ করেন তাসলিমা বেগম নামে এক নারী। তিনি বলেন, “বৃষ্টি হলে মইয়ে ওঠা নামা করা ভয়ংকর হয়ে পড়ে। বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিদিন আতঙ্কে থাকি।”
শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী মৃধা জানান, “বিষয়টি আমরা এলজিইডিকে জানিয়েছি। শিগগিরই শুকনো মৌসুমে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ শুরু হবে।”
ঠিকাদার মো. ইমরান হোসেন বলেন, “বর্ষার কারণে মাটির সংকট থাকায় সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে এলেই কাজ শুরু করা হবে।”
দুমকি উপজেলা এলজিইডি’র ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ রোড বর্ষার কারণে পিছিয়ে গেছে। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।”
এদিকে এলাকাবাসীর দাবি—দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করতে হবে।