ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, আসামিকে ধরে পুলিশে দিলেন বাদী
নিজেস্ব প্রতিবেদক|২০:০৯, অক্টোবর ২৩ ২০২৫ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলার আসামিকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন বাদী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নিজেই আসামিকে ধরে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মাসুদুর রহমান।
তিনি গলাচিপার গোলখালী ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গলাচিপা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাদীর বাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার একটি ইউনিয়নে। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১ জুলাই তিনি তাঁর আট বছর বয়সী মেয়েকে কোরআন শিক্ষার জন্য ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করেন।
চলতি বছরের ২১ জুন মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক মাসুদুর রহমান (২৪) তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। পরে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে নাটক সাজিয়ে শিশুটিকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বাদী অভিযোগ করে বলেন, ওই ঘটনার পর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন। পুলিশকে জানালে তাঁরা আসামি মাসুদুর রহমানকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এরপর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে গত ২৯ জুন পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন তিনি। আদালতের নির্দেশে ৬ জুলাই গলাচিপা থানায় মামলা রুজু হয়। এরপরও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি বলে অভিযোগ।
পরে আজ তিনি আসামিকে ধরে পুলিশকে খবর দিলে তাঁরা এসে আসামিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কথা বলতে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমানের দাপ্তরিক মুঠোফোন নম্বরে কল করলে ছুটিতে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আসামি গ্রেপ্তার না করার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি’ বলে ফোন কেটে দেন।