বরিশালে বিএনপি কর্মীর জমি দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন আ.লীগ নেত্রী!

এ.এ.এম হৃদয় | ১৬:৪০, অক্টোবর ২১ ২০২৫ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রকাশ্য দিবালোকে এক বিএনপি কর্মীর জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই দখলে নেন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আকন আজাদ ও তার ২য় স্ত্রী শেখ রূপা। এ সময় তাদের সাথে ছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন সশস্ত্র ক্যাডার ও পুলিশ। নিজের পৈত্তিক জমি অবৈধ দখলের দৃশ্য দুর থেকে চেয়ে চেয়ে দেখলেও টু শব্দটিও করতে পারেননি জমির মালিক। কেননা জমির মালিক বিএনপি করেন এই অপরাধে তার প্রতিবাদ করার অধিকারটুকুও যেন ছিলনা। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের বেজগাতী এলাকায় স্বৈরাচারী আমলে এভাবেই অবৈধ জমিতে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুইজ হাসপাতাল গড়ে তোলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম ওরফে আকন আজাদ। এরপর আশিক আব্দুল্লাহকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়ে সকলকে তার শক্তির জানান দেন। গৌরনদীর তৎকালীন মেয়র হারিছের ঘনিষ্টজন হওয়ায় সব সময়ই ক্যাডার নিয়ে চলতেন আজাদ। তাকে দেখলে ভয়ে মুখ খোলার সাহস অনেকেই হারিয়ে ফেলতেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর দখলকৃত জমি হারানোর ভয়ে হাসপাতালের সামনে একটি বোমা নাটক সাজান সুইজ হাসপাতালের এমডি শেখ রূপা। এরপর জমির মালিকের নামে থানায় অভিযোগও দেন। সেনা গোয়েন্দাদের তদন্তে অবশেষে আসল সত্য বেড়িয়ে আসায় সে নাটক আর বেশি দুর গড়ায়নি। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম রোকন বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। স্বৈরাচারী আমলে সতেরোটি মামলার আসামী হয়েছিলাম। সেই সুবাদে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আমার পৈত্তিক জমি দিনের আলোতে বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে দখলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ রূপা। ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারিনি। এখনো আমাদের ১০ শতাংশ জমি তাদের দখলে রয়েছে। কিছু ব্যক্তিবর্গকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এখনো তারা রয়েছে বীরদর্পে। তাছাড়া সুইজ হাসপাতালে একদিকে চলে অপচিকিৎসা আরেক দিকে চলে অনৈতিক কর্মকান্ড। এগুলো বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের গোপন কর্মসূচী বাস্তাবায়নে বরিশালে অর্থায়ন করার অভিযোগ উঠেছে আকন আজাদের বিরূদ্ধে। তার এসব কাজের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন তার ২য় স্ত্রী শেখ রূপা। আকন আজাদের প্রেরিত অর্থ আওয়ামী লীগের গোপন কর্মসূচী বাস্তবায়নের নির্দিষ্টজনদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। বরিশাল ব্যাপ্টিষ্ট মিশন গল্লিতে আপন বড়ভাই কবির আকনের বাড়িটিও প্রকাশ্য দিবালোকে দখলে নেন আজাদ। এলাকাবাসী দাবি করেন, অতি দ্রুত আকন আজাদ ও শেখ রুপার সকল অপকর্ম উল্লেখ করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। এ বিষয়ে আকন আজাদ বলেন, আমার বিরূদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। তবে আমি যা যা করেছি তা মেয়র হারিছ আমাকে ব্যাধ্য করে করিয়েছে। কেননা তখন তার কথার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।