তৃতীয় স্ত্রী হত্যার দায়ে যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিলেন আদালত

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুম করার দায়ে বরিশালে সোহরাব হোসেন আকন (৪৫) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের পেশকার অজিবর রহমান জানান, এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সোহরাবকে আরও একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল চলমান রয়েছে। সোহরাব মুলাদীর তয়কা গ্রামের মো. লাল মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, সোহরাব তাঁর স্ত্রী লিমা বেগমকে ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর হত্যা করে মরদেহ গুম করেন। এর পর থেকে লিমার সন্ধান পাওয়া যায়নি। লিমা সোহরাবের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। তিনি মুলাদী পৌর শহরের তেরচর গ্রামের হোসেন পাটওয়ারীর মেয়ে। লিমার বোন ডলি বেগম প্রথমে মুলাদী থানায় জিডি এবং ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি হত্যা ও গুমের মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ফেরদৌস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে লিমার বিয়ে হয়। তিনি স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। সোহরাব লিমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফেরদৌসকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। পরে লিমাকে বিয়ে করে সোহরাবও লিমাদের বাড়িতে থাকতেন। হত্যা ও গুমের পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে এ বিয়ে হয়।
একপর্যায়ে লিমার বাবাকে জমি বিক্রি করে ২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে চাপ দেন সোহরাব। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ ছিল। এর জেরে লিমাকে হত্যা করে গুম করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।