এবার মিঠাপুকুরে ৬ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪১, অক্টোবর ০২ ২০২৫ মিনিট

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় অ্যানথ্রাক্সে (তড়কা রোগ) আক্রান্ত সন্দেহে ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে চারজনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এ রোগে আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ২০ জনের মৃত্যুঝুঁকি থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর সোনারপাড়া গ্রামে চারজনের শরীরে ঘা দেখা দিলে এলাকায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তরা গত ২০ সেপ্টেম্বর রহমতপুর বাজার থেকে কেনা মাংস খেয়েছিলেন। পরে ফ্রিজে থাকা ওই মাংস উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মাধ্যমে পরীক্ষায় জানা যায়, জবাই করা গরুটি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত ছিল। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ভীতি তৈরি হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস খাওয়া কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দুজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সে উপসর্গ ধরা পড়ে।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক (রোগনিয়ন্ত্রণ) এম এ হালিম লাভলু বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত সন্দেহে ছয়জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে চারজন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে এ রোগে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন বলেন, ‘রোগাক্রান্ত গরুর মাংস খাওয়া অনুচিত। এ রোগ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত পশুর মৃতদেহ অন্তত ছয় হাত মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জনসচেতনতা বাড়াতে উঠান বৈঠক, মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা এবং নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে উঠান বৈঠক, মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।