বরিশালে কমেছে মশার উপদ্রোব

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:২৭, সেপ্টেম্বর ২২ ২০২৫ মিনিট

বরিশাল নগরের দীর্ঘকালের সমস্যা মশা। যা নাগরিক জীবনকে অতীষ্ঠ করে তুলেছে। একাধিক মেয়র বদল হলেও মশার সাথে কেউ যেন পেরে ওঠেনি। গত ৪ মার্চ বরিশাল সিটি করপোরেশন মশা নিধনে ‘অলআউট কর্মসূচি’ ঘোষণা করে। এরপর থেকে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পর মশার উপদ্রোব কিছুটা কমে আসে। বিসিসি প্রশাসক এর কিছু শক্ত পদক্ষেপ নাগরিকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। মশা নিধনে বেশ কয়েকটি টীম গঠন, দীর্ঘদিনের জলাশয় ও খাল পরিস্কার কার্যক্রম, ঔষধ ছিটানো ও মাইকিং করে নাগরিকদের মাধ্যমে বাসা বাড়ির আঙ্গিনা ও ঝোপঝাড় পরিস্কার করানোর ফলে এই সাফল্যের দেখা মিলেছে। তবে সংস্লিষ্টরা দুটি বিষয়কে খুব গুরুত্বের সাথে বলছেন, খাল পরিস্কার ও ফগার মেশিনের দেওয়া মশার ঔষধ পরিবর্তন করা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন যাবত মশা নিধনে একই ঔষধ ব্যবহার করায় মশাদের মধ্যে ঐ ঔষধে আর কাজ করছিলনা। ফলে ঔষধ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি ছিল যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা পরবর্তিতে প্রয়োগের সাথে সাথেই ফল দেখা গেছে। নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তৎপরতা আগের চেয়ে বাড়ানোয় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে। ফগার মেশিন হাতে মশকনিধনকর্মীদের প্রতিনিয়ত ছুটে চলা, বিভিন্ন এলাকার ঝোপ ও বদ্ধ নালায় হ্যান্ড স্প্রে করার কারনে কিছুটা সাফল্য এসেছে। তবে এটি প্রতিনিয়ত চালু রাখা জরুরী। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বরিশালের ভেতর দিয়ে ২২টি খাল প্রবাহিত হয়েছে। বর্ষাকালে এসব খালে পানি প্রবাহ অব্যাহত রাখা জরুরী। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা, ঝোপঝাড় ও অপরিচ্ছন্নতা এড়াতে বিসিসির পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতা জরুরী। তানা হলে ওষুধ ছিটিয়ে তেমন একটা সুফল মিলবে না। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসংখ্য ফগার মেশিনের মাধ্যমে এডাল্টিসাইড (বড় মশা মারার ওষুধ) প্রয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া লার্ভিসাইড (মশার লার্ভা ধ্বংসের ওষুধ) ব্যবহার করা হয়েছে। তবে চারদিকে মশার উপযোগী পরিবেশ থাকায় এই সমস্যার সমাধান কঠিন ছিল। তবে বিসিসির পদক্ষেপের পাশিপাশি সাধারণ নাগরিকরা সহযোগিতা করায় মশার উপদ্রোব কমে এসেছে।