৩৩ বছর ধরে বন্ধ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরী

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ২০:১৯, সেপ্টেম্বর ২১ ২০২৫ মিনিট

ভোলার লালমোহনে ১৯৯০ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সবেক সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দিন আহেম্মেদ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরীটি উদ্ভোধন করেন। তখন মেজর (অবঃ) হাফিজউদ্দিন আহেম্মেদ এর একান্ত প্রচেষ্টায় ভোলা জেলা পরিষদ হতে লালমোহনে একটি দ্বীতল ভবনের পাবলিক লাইব্রেরী কাম অডিটরিয়াম নির্মান করা হয়। উদ্ভোধনের পর একজন লেইব্রেরীয়ান ও নিয়োগ দেয়া হয়। শুরু হওয়ার পর কয়েক মাস লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম ভালভাবেই চালু ছিল। এলাকার লোকজন নিয়মিত সেখানে বই ও পেপার পড়ত। ছিলো জমজমাট। কিন্তু ১৯৯৩ সালে লালমোহন মহিলা কলেজের কার্যক্রম পাবলিক লাইব্রেরী কাম অডিটরিয়ামে চালু করা হয়। তারপর থেকেই লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে জেলা পরিষদ হতে লাইব্রেরীয়ান বিনা কাজে নিয়মিত বেতন ভোগ করে বর্তমানে অবসর জীবন যাবন করছেন। ২০১৮ সালে নিজস্ব ভবন তৈরী হওয়ার পর লালমোহন করিমুন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরী ভবন ছেড়ে তাদের নিজস্ব ভবনে চলে যায়। সেই থেকে লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরীটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় নোংরা আবর্জনা জমে পাবলিক লাইব্রেরী ভবন, আসে পাসের এলাকা এবং ভবনের পাশের একটি টিনসেট ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে। এখন সেখানে গভীর রাতে চলে বিভিন্ন নেশাখোরদের আড্ডা। এ ব্যাপারে বহুবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচার করা হলেও কর্তপক্ষের কোনো টনক নড়েনি। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটি সাহায্যকারী ক্লাব অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরী কাম অডিটরিয়াম এর কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে  ভিতরের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করার কাজ শুরু করে। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জের সহায়তা কামনা করে দেন দরবার করে। কিন্তু এখনো চালু হয়নি পাবলিক লাইব্রেরিটি। লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরিটি চালুর ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বিাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। শ্রীঘ্রই এই টাকা দিয়ে বই কেনা হবে। এছাড়া লাইব্রেরি কক্ষটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা সহ বসার জন্য টেবিল ও চেয়ার ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইব্রেরির জন্য এলাকার চাহিদা অনুযায়ী বই কেনার বিষয়ে কেউ পরামর্শ দিলে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে।