দুই পক্ষের কোন্দল, উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ডেকেও স্থগিত

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বহুল কাঙ্ক্ষিত কাউন্সিল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ শুক্রবার কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচন ঘিরে বিরোধ রোধে কেন্দ্র থেকে কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।
কিন্তু বাবুগঞ্জ বিএনপিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে উপজেলা কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি বলে গুঞ্জন রয়েছে। এদিকে উপজেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হঠাৎ স্থগিত হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সম্মেলন উপলক্ষে বাবুগঞ্জ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মঞ্চ নির্মাণসহ চলছিল জোর প্রস্তুতি। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতারা সম্মেলন ঘিরে মাঠে সক্রিয় থাকলেও বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে সম্মেলন স্থগিতের খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
বিএনপির স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনের আয়োজনে উপজেলা বিএনপির একটি বড় অংশকে উপেক্ষা করা হয়েছে এমন অভিযোগ কেন্দ্রের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় নীতিনির্ধারণী মহল থেকে সম্মেলন স্থগিতের নির্দেশ আসে। এর আগে ২০২৪ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপিতে সুলতান আহমেদ খানকে আহ্বায়ক ও ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্সকে সদস্যসচিব করে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি বলেন, বিগত ১৭ বছর রাজপথে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলা, মামলা ও কারাবরণকারী নেতা-কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে বাবুগঞ্জের ছয়টি ইউনিয়নের বিতর্কিত ও বিলুপ্ত কমিটি পুনর্বহাল করে পছন্দের লোকজন দিয়ে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব। ফলে দলের তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তবে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসন্ন দুর্গাপূজা সন্নিকটে থাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নীতিনির্ধারক মহল এই সম্মেলন আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই নতুন তারিখ জানানো হবে।’ এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। দল তাই চায় না স্থানীয়ভাবে বিরোধ আরও বেড়ে যাক। যে কারণে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।’