চেহারা বদলে নতুন আশ্রয়ের খোঁজে নুরুল ইসলামের দৌড়ঝাপ
নিজেস্ব প্রতিবেদক|১৯:১০, সেপ্টেম্বর ১৮ ২০২৫ মিনিট
সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ঘিরে বিতর্কের মুখে পড়েছেন বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম । যিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের ছায়ায় থেকে ক্ষমতার সুবিধা ভোগ করেছেন। তবে বিতর্ক উন্মোচিত হওয়ার পরপরই তার রাজনৈতিক অবস্থানের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে নাটকীয় পরিবর্তন ।
গত ১৭ বছর ধরে তিনি নিজেকে ‘মুজিব আদর্শের সৈনিক’ হিসেবে প্রচার করলেও, সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই নুরুল ইসলাম জামায়েত সংশ্লিষ্ট কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং নিজেকে একজন আন্তরিক জামায়তপন্থী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন । এমনকি বরিশালের এক প্রভাবশালী জামায়তপন্থী সাংবাদিকের কাছেও দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে তাকে । বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, নুরুল ইসলাম দীর্ঘ ১৭ বছর বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও তার পুত্র বিসিসির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর রাজনৈতিক ছায়াতলে থেকে তিনি বরিশাল জিলা স্কুলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন ।
বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্য, অবৈধ কার্যকলাপ, অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সময় তিনি ‘মুজিব প্রেমিক’ পরিচয়ে মুজিব কোট ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত লোগো ব্যবহার করে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছেন। বরিশালের একজন প্রবীণ সাংবাদিক বলেন, ‘মুজিব কোট’ পরে যিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বছরের পর বছর, আজ সেই শিক্ষক নুরুল ইসলাম জামায়তের পরিচয়ে আশ্রয় চাইছেন এ যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুবিধাবাদিতার নগ্ন উদাহরণ ।
রাজনৈতিক আদর্শ নয়, বরং ব্যক্তি সুবিধা ও আত্মরক্ষাই যেখানে মূল উদ্দেশ্য, সেখানে নৈতিকতা, সততা ও জনগণের আস্থা বারবার পদদলিত হয়। নুরুল ইসলামের এমন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বরিশালের রাজনৈতিক ও শিক্ষামহলের অনেকে। বরিশাল জিলা স্কুলের একজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “একই ব্যক্তি কিভাবে একই সময়ে মুজিব প্রেমিক এবং জামায়তের ঘনিষ্ঠ হতে পারে? এটি স্পষ্ট দ্বিচারিতা ।”