নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ প্রেস ক্লাব গলিতে ল্যাব স্টার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিসিপশনিস্ট বর্ষা আক্তার মীমের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নিজেকে দুই দফায় ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ধরেন মীম। এ নিয়ে পুরো নগরীজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কিন্ত অনুসন্ধান করতেই যেন বেড়িয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ভিন্ন তথ্য।
অভিযোগে বর্ষা আক্তার মীম নিজেকে একজন সাংবাদিকের স্ত্রী দাবি করলেও জানা গেছে মীম তার দ্বিতীয় স্ত্রী। কোন এক ফাঁদে ফেলে ঐ সাংবাদিকের সাথে বিয়েতে আবদ্ধ হয় মীম। এরপর থেকে তার ফাঁদের ব্যাপ্তি আরো বেড়ে যায়। এর আগে গত ১৮ আগস্ট সদর রোডে হোটেল শামসে এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মান বাঁচাতে সরকারি কর্মকর্তা ঐ বেচারা টাকা দিয়ে কেটে পড়ে আর মুখ খুলেননি।
সম্প্রতি ল্যাব স্টার ডায়াগনস্টিকের শেয়ার হোল্ডার বাবুল এবং তার বন্ধু মহিবুল্লাহর বিরূদ্ধে একই ভাব দুটি অভিযোগ তুলে ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ তিনি কোন আইনগত ব্যবস্থা না নিয়েই ব্লাকমেইল করতে এমনটি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এক সিনিয়র সাংবাদিকের মাধ্যমে চাপ দিয়ে ইজ্জত খোয়ানোর ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্র।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত মহিবুল্লাহ তার বন্ধু বাবুলের ল্যাবে দু’একবার চা খেতে গিয়েছেন। অভিযোগকারী মিমের সাথে কোন দিন তার মোবাইলে ফোনে কথপোকথনও হয়নি। অনলাইন কিংবা অফলাইন কোন ভাবেই তাদের মধ্যে কোন যোগাযোগ নেই। অথচ একটি ডাহা মিথ্যা অভিযোগ তুলে তার ভিডিও ছড়িয়ে ব্লাকমেইলের চেষ্টা করে যাচ্ছে মীম। যদিও অদ্যাবধি মিম আইনের আশ্রয় নেওয়ার সৎ সাহসও দেখায়নি।
এ বিষয়ে মহিবুল্লাহ বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট একটি অভিযোগ দিয়ে ব্লাকমেইলের চেষ্টা করছে এই মেয়ে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করবো তারা যেন স্ব-প্রণোদিত হয়ে এটির তদন্ত করে। পুরো নগরীতে এই চক্রের শিকার অনেকেই হয়েছেন। ইজ্জতের ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।