বরিশালের বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি সবজি ৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচামরিচের দাম। গত সপ্তাহ থেকেই কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বরিশালের একমাত্র পাইকারি সবজির বাজার, বাংলাবাজার বাজার, সাগরদী বাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে ৩৫-৪০ টাকা করে কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি গত সপ্তাহে কেজি ৪০ টাকা হলেও এ সপ্তাহে ৪৫ টাকা, করলা গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৫৫ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য সবজিও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ৫-২০ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বেগুন প্রকার ভেদে ৬০-৮০ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, লাউ আকার ভেদে ২৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ১৫-২৫ টাকা ও লেবুর হালি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজি খুচরা বাজারে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এছাড়া মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০-১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা দরে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে বিভিন্ন মাছ গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রুই মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৫০-১৮০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫৫০-৮৫০ টাকা, পাবদা ২৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা।
নগরীর বাংলাবাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা তৌহিদ জানান, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা সবজির দাম কিছুটা বেশি হবে। কারণ পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে লেবার খরচ, ভ্যান ভাড়া দিয়ে সবজি আনতে হয়। তার মধ্যে বৃষ্টির কারণে সবজায়গাতেই খরচ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হয়। পরে বাজারে বিক্রি করতে হলে ইজারা, বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। তাই খুচরা বাজারে সবজি কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
বরিশালে সবজির পাইকারি বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেটের দুলাল বানিজ্যালয়ের প্রোপাইটর মো. আমিন শুভ জানান, বৃষ্টির কারণে অন্যান্য সবজি ৫-২০ টাকা বাড়লেও বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেশি। খুচরা ব্যবসায়ীরা নানান খরচের দোহাই দিয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধীকারী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।